চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কোটার বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে এসেছে। সরকার শিক্ষার্থীদের ওপর সহানুভূতিশীল হয়ে পুরো কোটাই বাতিল করে দিয়েছিল। হাইকোর্ট সেটি পুণর্বহাল করেছিল, সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করেছে। কোটা আদালতের একটি বিচারাধীন বিষয়। সে কারণে এর ওপর সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে। আদালতের মাধ্যমেই এর সমাধান হতে হবে।
রোববার (১৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দিল্লিতে বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট বিষয়ে ব্রিফিংকালে সাংবদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।ড. হাছান বলেন, এখন যে আন্দোলন হচ্ছে সেটির কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না। এটি আসলে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলিও বটে। সরকার সবসময় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। সে কারণে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল। তবে বাতিল করার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। যেমন অনেক জেলা থেকে অনেক ক্যাডারে কেউ সুযোগ পাচ্ছে না, মেয়েদের অংশগ্রহণ কমে গেছে -এসব সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ সময় কোটা আন্দোলন থেকে বিএনপি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপি তো সবসময় চায় দেশকে অস্থিতিশীল করতে। নিজেদের তো কিছু করার ক্ষমতা নেই, তারা অপরের ঘাড়ে চেপে বসে। কোনো সময় কোটার ওপর ভর করে, কোনো সময় তেল-গ্যাসের ওপর ভর করে, কোনো সময় আবার অন্য কিছুর ওপর ভর করে। বিএনপি কোটা আন্দোলন থেকেও সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিম কোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ সরকার যে কোটা বাতিল করেছিল, সেটিই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরও যখন আন্দোলন হয় বুঝতে হবে এটির সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত হয়েছে।