(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কোটা আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা

ঘোষিত এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আগামীকাল শনিবার সারাদেশে সংগঠনটির সমন্বয়কদের নিয়ে অনলাইন-অফলাইনে প্রতিনিধি বৈঠক করা হবে৷ শুক্রবার (১২ জুলাই) দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।

আগামীকাল সারাদিন দেশব্যাপী প্রতিনিধি বৈঠক করবে সংগঠনটি। একই সঙ্গে পূর্বে ঘোষিত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচিও চলমান থাকবে। পরবর্তীতে বিকেল ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা।ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (১৩ জুলাই) ৬৪ জেলায় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আগামীকাল সারাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ও ৬৪ জেলায় অনলাইন ও অফলাইন প্রতিনিধি সম্মেলন এবং সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সমন্বয়ক আব্দুল কাদির বলেন, আমাদের অধিকার আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে গতকাল (১১ জুলাই) আমার ভাইদেরকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আমাদেরকে বার বার হাইকোর্টের বারান্দা দিয়ে ঘুরঘুর করানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, আমাদের এক দফা এক দাবি অতি দ্রুত মেনে নিন।

আরেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, কোটা ইস্যুকে সমাধান না করে তা দীর্ঘায়িত করে শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে ফুটবল খেলা হচ্ছে। আমাদের এক দফা দাবিকে মেনে নিয়ে সংসদে আইন পাশ করা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।

আবু বাকের মজুমদার বলেন, গতকাল আন্দোলনে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শেকৃবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাইবোনদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সভাপতি আমাদের সমন্বয়ককে চড় থাপ্পড় মেরেছে৷ আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি সমন্বয়কদের অভয় দিয়ে বলতে চাই, কেউ যদি আমাদের ওপর হামলা চালায় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

তিনি বলেন, গতকাল কুমিল্লায় এক সাংবাদিক বন্ধুর উপর পুলিশ হামলা করেছে। তাছাড়া গতকাল কিছু অছাত্র-কুছাত্রদের দিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাস ভরে রাখা হয়েছিল। পরে শাহবাগে কিছু কুচক্রী মহল তাদের দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে। সাংবাদিকরা গত ৫ জুন থেকে নিরলসভাবে আমাদের দাবির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।

বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে বিকেল সোয়া ৫টায় শাহবাগে জড়ো হন।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email