(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ১০৭

ভারতের উত্তর প্রদেশে হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১০৭ হয়েছে। যাদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

স্থানীয় একজন গুরুর সম্মানে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। কি কারণে পদদলনের ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। এ খবর দিয়ে এনডিটিভি বলছে, স্থানীয় কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে বাসে এবং টেম্পোতে করে সেখানে বেশ কিছু মৃতদেহ নেয়া হয়েছে। সঙ্গে ছিলেন শোকে স্তব্ধ আত্মীয়রা। এই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ বিষয়টি তদারক করছিলেন। তার নির্দেশনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করবে।

শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট দ্রুপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন তারা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, উত্তর প্রদেশ সরকারকে সব রকম সহযোগিতা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। হাথরাস জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিষ কুমার বলেন, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে ইটাহ জেলার কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন আরও ২৭ জন নিহত হয়েছেন। আশিষ কুমার আরও বলেন, হাথরাসে সিকান্দ্রা রাও পুলিশ স্টেশনের অধীনে ফুলরাই গ্রামে এই পদদলনের ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চিকিৎসকরা বলছেন নিহত হয়েছেন ৫০ থেকে ৬০ জন। এটা একটি প্রাইভেট ইভেন্ট ছিল। তাদেরকে সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অনুমতি দিয়েছিল। প্রশাসন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল।

কিন্তু অন্য ব্যবস্থাপনা আয়োজন করার কথা ছিল তাদের। ইটাহ-এর মুখ্য মেডিকেল কর্মকর্তা ড. উমেষ কুমার ত্রিপাঠি বলেন, আমরা ২৭টি দেহ পেয়েছি। এর মধ্যে ২৫টি নারীর। দুটি পুরুষের। আহত কিছু ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানে পদদলনের খবর শুনেছেন তিনি। ইটাহ-এর এসপি রাজেশ কুমার বলেন, পদদলনে নিহত হয়েছে তিনটি শিশু। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের হাসপাতালে ২৭টি মৃতদেহ নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২৩টি নারীর। তিনটি শিশুর।

 

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email