(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা

 

রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক আজ সকালে রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
৫৪ তম ‘স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪’ উদযাপনের অংশ হিসেবে, রাষ্ট্রপতি প্রথমে ৫টা ৫৭ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
৫৪ তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা এখন চার দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানই প্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। দীর্ঘ ১১ বছর পর ওয়াংচুক তাঁর পতœীসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন। এর আগে ২০১৩ সালে রাজাও রাণী বাংলাদেশ সফর করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল এই সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।

 

রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান এবং ভুটানের রাজাও স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন।
পরে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর দলের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এই সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধান বিচারপতিও মহান জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
প্রতি বছর ২৬ মার্চ ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়ের সবচেয়ে করুণ স্মৃতিকথা নিয়ে আসে। যা অন্ধকার সরিয়ে মুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত। যার শুরুটা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কাল রাতে।
জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালির অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন ১৯৭১ এর ২৫ মার্র্চ রাতে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সশস্ত্র অভিযান ও গণহত্যা শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ রাতে তৎকালীন ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) ওয়ারলেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আর এরমধ্য দিয়েই শুরু হয় পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র জনযুদ্ধ। যদিও তাঁর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেই তিনি সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্দীপিত করেছিলেন। ত্রিশ লাখ শহীদের বুকের তাজা রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়। বিশ^ মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
২৬ মার্চ ও মহান স্বাধীনতা দিবস তাই বাঙালির কাছে খুব পবিত্র ও মহামূল্যবান।

 

===বাসস

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email