খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, পাকা মেমো ছাড়া মিল গেটে চাল বিক্রি করা যাবে না। করলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধ মজুতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বদ্ধপরিকর।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই। এইটা মিলারদের সৃষ্টি। রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। কোনোভাবেই যেন দাম বৃদ্ধি হতে বা কেউ করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ধান মজুত করার কোনো সুযোগ নেই। ধান গোডাউনে ঢুকবে, ধান বেরিয়ে যাবে। ঝিনাইদহে যে প্রতিকেজি চালের দাম দুই টাকা করে বেড়েছে তা কোনো মিল মালিক স্বীকার করেন না। বরং আমিই বলেছি যে, কুষ্টিয়া থেকে এই চালের দাম বেড়েছে। তারা এই মিটিংএ বলে গেছেন যে, কোনোভাবেই দাম আর বাড়বে না। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করব। তাদেরকে অনেক বিবেকের কথা বলে বলা হয়েছে দাম বাড়াবেন না। তারা বলেছে চালের দাম কমাবে। তারা দাম কমাক না কমাক আমি ডিসি, ভোক্তা অধিকার, মার্কেটিং কর্মকর্তাকে বলে দিচ্ছি- তারা যাদি মনিটরিং করে একদিন একসাথে মার্কেটে নামেন এবং এ বিষয়ে কোনো ব্যত্যয় পান কঠোরভাবে মোবাইল কোর্ট করতে হবে। যদিও আমরা চাই না মোবাইল কোর্ট করে কাউকে অপমান করি। যদি আমাদের কেউ বাধ্য করায় তবে মোবাইল কোর্ট হবে। ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়ার সব ধরনের উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানে ব্যবহৃত যে দৈনিন্দন ভোগ্য পণ্য রয়েছে যেমন, ছোলা, খেজুর, চিনিসহ অন্যান্য জিনিসের দামের প্রেক্ষিতে গতবার যে এলসি খোলা হয়েছে তার থেকে এবার অনেক বেশি এলসি খোলা হয়েছে। সুতরাং রমজানে দাম বাড়ার কথা না। যদি দাম বাড়ে তবে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এক বছর চাল আমদানি করিনি। এখনো যে পরিমাণ চাল আছে তাতে করে এখনো চাল আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। সরকারিভাবে আমরা চাল আমদানি করছি না। বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য ট্যাক্স জিরো করে অনুমতি দিয়ে রাখব। যদি কোনো ম্যাসাকার না হয় তার জন্য একটি পথ খোলা থাকল।জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ।