ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে ভাঙ্গার খাড়াকান্দি এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সাতজন।
নিহতরা হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার আলগি ইউনিয়নের নোয়াকান্দা গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম মাতুব্বরের ছেলে হাফিজুল ইসলাম হাবু (৪০), একই ইউনিয়নের আড়ুয়া কান্দি গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে মেহেদী মাতুব্বর (২৫), পার্শ্ববর্তী মধুখালী উপজেলার হাতিম শেখের ছেলে হাফেজ মাওলানা মিরাজুল ইসলাম (৪২), ও নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া গ্রামের লিটন মন্ডল (৩৮)।
গুরুতর আহতরা হলেন- নগরকান্দা উপজেলার বাগচরা গ্রামের মন্টু মাতুব্বরের স্ত্রী আমিরুন্নেসা (৬০), সালথা উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের রায়পাল (৩১), একই গ্রামের ঈশ্বরলক্ষীকান্ত পালের স্ত্রী রানী লাল পাল (৬০), নিহত হাফেজ মাওলানা মিরাজুলের ছেলে খালিদ সাইফুল্লাহ (১০), ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া গ্রামের আব্দুল করিম (৬০), ভাঙ্গা পৌরসভার পশ্চিম হাসামদিয়া গ্রামের নান্নু শেখের ছেলে মেহেদী শেখ (১৪) ও নগরকান্দা উপজেলার জয় বাংলা গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে জাহিদ হাসান (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস ভাঙ্গা থেকে মুকসুদপুরগামী যাত্রীবাহী লেগুনাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে চারজন যাত্রী নিহত হন। এ সময় চালকসহ আরও সাতজন যাত্রী গুরুতর আহত হন। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি খাইরুল আনাম জানান, বেপরোয়া সোহাগ পরিবহনের বাসটি (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-২৩৪৬) ঢাকা থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছিল। একই সময় ভাঙ্গা থেকে সবুজ বাংলা নামক (ঢাকা মেট্রো ন-১৬-৯৭১৬) লেগুনাটি যাত্রী নিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের দিকে যাচ্ছিল। সোহাগ পরিবহন ঘটনা স্থলে পৌঁছালে সবুজ বাংলাকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন ও সাতজন আহত হন। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।