অনাহারে দিন পার করছেন মানুষ। কোথাও খাবার নেই। খাবারের আশায় ট্রাক দেখলেই ছুটে যাচ্ছেন মানুষজন। সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে লাশ।ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উত্তর গাজা উপত্যকায় এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সামনে উত্তর গাজার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন তিনি।মানবিক সম্পর্ক ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়বিষয়ক জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, সম্প্রতি আমার যেসব সহকর্মী উত্তর গাজায় যেতে পেরেছেন তারা সেখানের ভয়াবহ পরিস্থিতির বর্ণনা করেছেন : সড়কে মানুষের লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। সেখানে অনাহারের লক্ষণ স্পষ্ট। বেঁচে থাকতে খাবারের সন্ধানে মানুষ ট্রাকের পেছনে ছুটছেন।আশ্রয়কেন্দ্রে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক অনেক বেশি মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ বাড়ি ফিরতে পারলেও অনেকের কাছে আসলে বাড়ি যাওয়ার মতো কিছুই নেই।গাজায় খাদ্য ও পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে ঠেকেছে।মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, নারীরা নিরাপদে সন্তান জন্ম দিতে পারছেন না। শিশুরা টিকা নিতে পারছে না। সংক্রামক রোগের বিস্তার বাড়ছে। হামলা থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ হাসপাতালে আশ্রয় নিতে ভিড় করছেন।এদিকে দুই সীমান্ত ক্রসিং পার হয়ে গাজায় ধীরে ধীরে ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে, উত্তর গাজায় জরুরি ত্রাণসহায়তা ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলের দাবি, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা যথেষ্ট কাজ করেনি।