(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: বুধবার, ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপি-জামায়াতের ওপর আল্লাহ নারাজ : তথ্যমন্ত্রী

ফিলিস্তিনের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে কথা না বলায় বিএনপি জামায়াতের ওপর আল্লাহ নারাজ হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাঙ্গুনিয়ায় নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জামায়াত ইসলামী স্লোগান দেয়, ‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’। ওরা বলে, ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে। আজকে ফিলিস্তিনে মুসলমানদেরকে পাখি শিকার করার মতো করে হত্যা করা হচ্ছে, এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, তৎমধ্যে বেশিরভাগ নারী এবং শিশু। বিএনপি-জামায়াত আজ পর্যন্ত একটি শব্দ ইসরাইলের বিরুদ্ধে উচ্চারণ করে নাই। কারণ একটি বড় রাষ্ট্র নাখোশ হতে পারে। তারা আজকে ইসরাঈলের দোসর ও মোনাফেক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছ। সুতরাং, এদেরকে চিনে রাখতে হবে। এরা নানা বিভ্রান্তি ছড়ায়।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে ফিলিস্তিনে বর্বর হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিদিন এর বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এই বিএনপি-জামায়াতের ওপর আল্লাহ নারাজ হয়ে গেছে। কারণ তারা ফিলিস্তিনের এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলে নাই। তাদের নেতা তারেক রহমান কথা বলতে নিষেধ করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একদিকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, রেল লাইন বানায়, নদী ভাঙ্গন রোধ করে, শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই দেই। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জনের নামে দেশের সম্পদ নষ্ট করে দিচ্ছে। বাসে-ট্রেনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, আর মানুষ পোড়ায়। রাজনীতির নামে এভাবে মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি দুনিয়ার কোথাও নাই। এগুলোকে আমি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে অবিহিত করি। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে কঠোর হাতে তাদের দমন করতে হবে।

চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ এদিন কোদালা চা বাগানের শ্রমিক, গ্রামের নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন এবং নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন। এরপর রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ও বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নামাজের পর মানুষের উপকারের মাধ্যমে আমার দিনের কাজ শুরু হয়। আমি কোন মানুষের অপকার করি নাই, কারো অপকার করা আমার ধর্ম নয়। আপনারা জানেন রাঙ্গুনিয়ার কোন একটা পাগল ও ভিক্ষুক যদি আমার গাড়ির সামনে হাত দেখায়, আমার গাড়ি দাঁড় করাই। আমি থামিয়ে কথা বলি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রিসভায় সিনিয়র পজিশনে বসিয়েছেন, দলের মধ্যেও সিনিয়র পজিশনে বসিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। আপনাদের সন্তান হিসেবে আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করার। জাতীয় পর্যায়ে আমার অনেক দায়িত্ব, এরপরও একজন চেয়ারম্যান যেভাবে এলাকায় সময় দেয়, আমি সেই ভাবে সময় দিই।

তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীসহ রাঙ্গুনিয়ার অন্যান্য নদীর ভাঙ্গন রোধে ইতিমধ্যে ৫০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে, আরো ১শ কোটি টাকার কাজ হবে। অনেক জেলায়ও এত উন্নয়ন কাজ হয়নি। রাঙ্গুনিয়ার ৮ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি হয়েছে আমার হাত দিয়ে। চাকরির সুপারিশ করার সময় আমি কখনো ভাবিনি, কে কোন দল করে। আমি সব মানুষের এমপি হবার চেষ্টা করেছি।

নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনেকে বিএনপি ঘরনার মানুষ আছে, আমি জানি, তারাও অনেকে আমাকে ভোট দেয়। রাঙ্গুনিয়ায় আগেও এমপি, মন্ত্রী ছিল। কেউ একটি মসজিদ ভবন বানিয়েছে দেখিয়ে দিতে পারবেনা। মসজিদের মধ্যে কিছু টাকা দিয়েছে বা এক-দুই টন টিআর দিয়েছে বলতে পারবে।

তিনি বলেন, আমার পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় ২৪টি নতুন মসজিদ বিল্ডিং করে দিয়েছি। রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে। গত ১৫ বছর সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি, পাঁচ বছর পর আমি আপনাদের দুয়ারে এসেছি, আপনারা দয়া করে আপনাদের দুয়ারটি আমার জন্য খুলে দিবেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email