(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

নারী দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো ওরা

 

প্রতারণার ফাঁদ পেতে পুরুষদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাজধানীর কড়াইল ও বনানী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিবি জানিয়েছে, প্রতারকরা মেয়েদের নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি তৈরি করে টার্গেটকৃত পুরুষদের রিকোয়েস্ট পাঠাতেন।

টার্গেটকৃত ব্যক্তিরা রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে প্রতারকচক্রের নারী সদস্যদের দিয়ে তাঁর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলানো হতো। এর মাধ্যমে টার্গেটকৃতদের গোপন ও অন্তরঙ্গ ছবি/ভিডিও হাতিয়ে নিতেন প্রতারকরা। এরপর সেই ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেওয়া হতো টাকা। চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে ছবি বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিত চক্রটি। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সদস্যদের সমন্বয়ে হানি ট্র্যাপের এই চক্রটি গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে ডিবি।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে টিপু সুলতান রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থী এবং মোসলেম রানা তিতুমীর কলেজের ছাত্র। তাঁরা দুজনই ঢাকার কড়াইলে বসবাস করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ডিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী কিংবা যেকোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত পুরুষদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল চক্রটি।

এ চক্রের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের একাধিক নাগরিক জড়িত। তাঁরাই বাংলাদেশি এজেন্টদের ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। একজন অভিযোগকারীর অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে চক্রটির সন্ধান পায় ডিবি।

ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) এডিসি মো. সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, ‘চক্রের মাস্টারমাইন্ড ভারতের শাকিল বলে জানতে পেরেছি। তিনি ভিকটিমদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য বাংলাদেশের এজেন্ট টিপুকে ভুয়া ইউপিআই (ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস) তৈরি করে দেন।

টিপু ইউপিআই পাঠান পাকিস্তানি এজেন্ট পারভজকে। টাকা আদায়ের দায়িত্বে ছিলেন পারভেজ। নগদ/বিকাশের মাধ্যমে ভিকটিমদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে ভারতের শাকিলকে পাঠানো হতো। সেখান থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এজেন্ট ২৫ শতাংশ করে টাকা পেতেন।’

এ ধরনের অপরাধ থেকে বাঁচতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এডিসি মো. সাইফুর রহমান আজাদ।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email