(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: মঙ্গলবার, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে নিকাশ ঘর থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়নি

শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোনো ইসলামী ব্যাংককে ক্লিয়ারিং হাউস বা নিকাশ ঘর থেকে বিরত বা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিক এবং অনলাইন পোর্টালে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কয়েকটি ইসলামী ব্যাংককে ক্লিয়ারিং হাউস বা নিকাশ ঘর থেকে বিরত বা বিচ্ছিন্ন রাখার খবর প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকাশ ঘর পরিচালিত হয় পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের চলতি হিসাবে ক্লিয়ারিং সেটেলমেন্ট ছাড়াও অন্য সব ধরনের লেনদেন যেমন: সরকারি সিকিউরিটিজ, কলমানি ইত্যাদি সম্পন্ন হয়। ফলে দিনশেষে যে কোনো ব্যাংকের স্থিতি ঋণাত্মক হতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে বিডি ম্যানুয়াল ১৯৪৫-এ বর্ণিত নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো দিনশেষে বা পরবর্তী সময়ে সমন্বয় করে থাকে। এটি একটি চলমান এবং নিয়মিত প্রক্রিয়া যা বহুদিন থেকেই অনুসৃত হয়ে আসছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ মেজবাউল হক জানান, ইসলামী ব্যাংকগুলোর লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা গণমাধ্যমের কাছে উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ সকালে সরেজমিনে ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন শাখা পরিদর্শনে দেখা যায় গ্রাহকরা নির্বিঘ্নে লেনদেন সম্পন্ন করেছেন।ব্যাংকগুলোর  সব শাখায় পর্যাপ্ত নগদ টাকা রয়েছে।কোন গ্রাহকের চেক এ যাবত বাউন্স হয়নি।ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে টেলিফোনে আলাপে জানা যায় ডিসেম্বর ক্লোজিং উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গতানুগতিক একটি সার্কুলার কিছু গণমাধ্যমে বিকৃত ও অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃস্টি করতে চাইছে।ইতিমধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় গনমাধযমে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্যাংকগুলোর পক্ষ হতে সাধারণ জনগনকে অবগত করা হয়েছে।বিশেষত ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পি এল সি রেমিটেন্স আহরণে দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে।

এদিকে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক,  ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ,ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি,ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ,সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি
এক বিজ্ঞপ্তিতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক জানায়, সম্প্রতি কিছু পত্রিকায় ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা বাস্তবতাবিবর্জিত এবং দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস ছাড়া কিছুই নয়।

এসব নেতিবাচক সংবাদে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ব্যাংকটি।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে কয়েকটি পত্রিকা উপরিউক্ত বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে যা অসত্য, বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দেশের ব্যাংকিং খাত তথা অর্থনীতি অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। সংবাদটি বাস্তবতা বিবর্জিত ও অশুভ চক্রান্তের নগ্ন বহিঃপ্রকাশমাত্র।
প্রতিবেদনে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি. সম্পর্কে বলা হয়েছে যে ব্যাংক তারল্য সংকটে রয়েছে; এ প্রসঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের বক্তব্য হলো, এ পর্যন্ত ব্যাংকের ৩৯৪টি শাখা ও ২৩৭টি উপশাখায় কোন চেক বাউন্স হয়নি। এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট, এটিএম-সিআরএম এবং পিওএস মেশিন কোন লেনদেন ডিক্লাইন হয়নি। দেশে বিদেশে ব্যাংকের কোন কার্ডেও লেনদেন এবং অনলাইন ট্রানজেকশনেও কোন সমস্য নেই।

৩১ ডিসেম্বর ২০২২-এ যেখানে ব্যাংকের আমানত ছিলো ১ লক্ষ ৪১ হাজার ২ শত কোটি টাকা যা ৩০ জুন ২০২৩ এ ছিলো ১ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এবং বর্তমানে ব্যাংকের আমানত দাড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৫ শত কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২২ এর তুলনায় আমানত বেড়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। আমানতের এই পরিমাণ দেশের সরকারী, বেসরকারী সকল ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ব্যাংকে কোন তারল্য সংকটতো নাই-ই বরং দেশে বিদেশে অবস্থানরত প্রায় ২ কোটি গ্রাহকের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় ব্যাংক অব্যাহতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।
সংবাদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পত্র প্রেরণের যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সর্বৈবরূপে মিথ্যা ও সত্যের অপলাপমাত্র। বরং দেশের তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল বিধিবদ্ধ নিয়ম মেনে ইসলামী ব্যাংক তার সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

আমরা মনে করি, একটি অশুভ চক্র আর্থিক শৃঙ্খলা নষ্ট করে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধ্বংসের লক্ষ্যে এ ধরণের সংবাদ পরিবেশন করছে। আমরা ব্যাংকের সকল গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ীকে অবহিত করতে চাই যে, ব্যাংকে সবার আমানতসহ সকল স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ। এ ধরণের মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি।

 

 

ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি
এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি জানায়, শুক্রবার দেশের কয়েকটি সংবাদপত্রে শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তারল্য সংকট সংক্রান্ত যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেটি ইউনিয়ন ব্যাংকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে বাংলাদেশ ব্যাংকের কথিত চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে ইউনিয়ন ব্যাংক সম্পর্কে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাস্তবতাবিবর্জিত, অপ্রাসঙ্গিক ও অতিরঞ্জিত অনেক বক্তব্য লেখা হয়েছে, যা সত্যের অপলাপমাত্র।

দেশের ব্যাংক খাত তথা অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার হীন চক্রান্ত থেকেই এসব অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করে ইউনিয়ন ব্যাংক। বেশ কিছু দিন ধরে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মিথ্যাচার করে আসছে। তারল্য সংকট সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদ সেসব মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রমূলক নীলনকশারই অংশ।

 

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক জানায়, কয়েকটি পত্রিকা গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে; যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে বর্তমানে কোনো তারল্য সংকট নেই এবং সংবাদে উল্লিখিত এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২৮ নভেম্বর কোনো চিঠি দেয়া হয়নি। যেহেতু গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি তারল্য সংকটে নেই, তাই সংবাদে উদ্ধৃত ২০ দিন সময়সীমা বেঁধে দেয়ার কোনো বিষয়ই নেই। দেশের অর্থনীতির সুসংহত ধারা বজায় রাখা এবং জীবনযাত্রার উন্নত মান রক্ষার্থে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যখন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তখন এরূপ বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা নষ্ট করে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে।

 

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি

গত ১৫ ডিসেম্বর কিছু গণমাধ্যমে কথিত টাকার সংকট নিয়ে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ব্যাংকের সাথে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-র নাম উল্লেখ করে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যমূলক, অপ্রত্যাশিত, অসত্য ও বাস্তবতা বিবর্জিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা ব্যাংকিং সেক্টরের গতিশীলতাকে বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস। বিরাজমান সমস্যা মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং সেক্টর যখন অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলছে তখন এ ধরণের উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ ব্যাংকিং সেক্টরসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার গভীর
চক্রান্ত। এধরণের সংবাদ প্রকাশ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং দেশের অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর আস্থা নষ্ট করার কূটকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা দৃঢ়তার সাথে এধরণের নীতিবর্জিত সংবাদ ছাপানোর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।আমরা স্পষ্টত বলতে চাই, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে কোন তারল্য সংকট নেই।আমাদের সকল কার্যক্রম ও লেনদেন নিয়মিত, স্বাভাবিক ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আমানত, বিনিয়োগ, বৈদেশিক বাণিজ্য, রেমিট্যান্স প্রভৃতি সূচকে ইতিবাচক ধারায় আছে। এ পর্যন্ত আমাদের কোনো শাখা, উপশাখা বা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের কোনো গ্রাহক ব্যাংকের কোনো শাখায়, উপশাখায় কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে টাকা উত্তোলন করতে এসে কিংবা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ফেরত এসেছেন এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে আমাদের আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আহরণে বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে। তাছাড়া ব্যাংকের তারল্যসূচক সমূহ যেমন- ঋণ আমানত অনুপাত, এল সি আর, এন এস এফ আর, লিভারেজ অনুপাত প্রভৃতি গত তিন প্রান্তিকে উন্নতি ঘটেছে।এসবই সম্ভব হয়েছে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের সাথে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির কারণে। গত ১ বছরে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য জনবান্ধব বেশ কিছু আমানত প্রকল্প নিয়ে এসেছে, যা ইতোমধ্যে বাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়া আমাদের উপর আস্থার কারণে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২৩ সালে অধিক সংখ্যক নতুন গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। ফলে
প্রতিনিয়ত ব্যাংকের আমানত বেড়ে চলেছে। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশে আনতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবারো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। আমাদের ব্যাংক ২০২৩ সালে ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো এক বিলিয়ন ডলারের উপরে রেমিট্যান্স আহরণে সক্ষম হয়েছে, গত বছরের তুলনায় যার প্রবৃদ্ধি প্রায় চারশত ভাগ এবং যা ব্যাংকিং সেক্টরে সর্বোচ্চ। এটি অবশ্যই প্রবাসী বাংলাদেশীসহ গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।কতিপয় গণমাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তারতীব্র প্রতিবাদ করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আমরা দৃঢ়তার সাথে আশ^স্ত করতে চাই, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র সকল গ্রাহকের আমানত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও নিরাপদ। তাই ব্যাংকের সকল সম্মানিত গ্রাহক ও শুভাকাঙ্খীকে এ ধরণের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email