বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের তারিখ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। এসময় তিনি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে অংশ নিতে আপত্তি না থাকার কথাও জানান।
রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে এসব কথা বলেন রওশন এরশাদ। বেলা ১২টা ২০ মিনিটে বৈঠক করতে বঙ্গভবনে যান রওশন এরশাদের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সাক্ষাৎ শেষে সংসদের বিরোধী দলীয় চিপ হুইপ ও জাপার অব্যাহতি পাওয়া মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন— সংবিধান সংরক্ষণের জন্য এই নির্বাচনটা অতি প্রয়োজন। নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু হয় তিনি সেই বিষয়গুলো দেখবেন। বিরোধী দলীয় নেত্রীও তাই বলেছেন।
আগামী ৩০ নভেম্বর আয়কর রিটার্ন দাখিলের বিষয় রয়েছে, তাই তফসিল পেছানো যায় কি না— এমন প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাঙ্গা।
রাষ্ট্রপতিকে রওশন এরশাদ কি বলেছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে রাঙ্গা বলেন, আমরা এই নির্বাচনে পার্টিসিপেট করবো তা বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ রাষ্ট্রপতিকে বলেছেন। আমরা সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
রাঙ্গা আরও বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য তফসিল কিছুটা পেছাতে আহ্বান জানিয়েছেন রওশন এরশাদ। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে।
জবাবে রাষ্ট্রপতি কি বলেছেন জানতে চাইলে বিরোধী দলীয় চিপ হুইপ বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন— ২৮ বা ২৯ তারিখ এই সংসদের মেয়াদ শেষ হবে, তাই কিছু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তারপরও আপনারা প্রস্তাব করেছেন, আমি সবার সঙ্গে কথা বলে দেখবো, কোন সুযোগ আছে কি না।
রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান রাঙ্গা।
রাষ্ট্রপতির মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিটে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে যান রওশন এরশাদ। তার সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, এরশাদ পুত্র রাহ্গির আল মাহি সাদ এরশাদ ও বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মো. মামুনুর রশিদ।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।