(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী: সিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার খুনি কানাডায় আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে দেখা গেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় টেলিভিশনটির অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্য ফিফথ স্টেট’-এ ‘দ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামের ৪২ মিনিটের একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার হয়। সেই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে নূরকে দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে টরন্টোর নিজফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখানো হয়। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থাতে ধরতে পারেন প্রতিবেদক। তিনি কথা না বলে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে কেটে পড়েন। দীর্ঘদিন অনুসরণ করে তাকে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।

টেলিভিশনটির অনুসন্ধানী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, গত সাত মাস আমরা ছুটে বেড়িয়েছি অটোয়া থেকে টরন্টো, টরন্টো থেকে ঢাকা। পড়েছি শত শত কোর্ট ডকুমেন্টস। জোগাড় করেছি দুই দেশের গোপন নথি।

জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করেছি, নূরকে বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি করতে না পারার দায় কি শুধু কানাডা সরকারের পলিসির, নাকি আরো অন্য কিছু আছে?

আবদুল্লাহ আল ইমরানের পোস্টটিতে দেড় মিনিটের একটি ট্রেইলারও রয়েছে। তাতে টরন্টোর নিজ ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখা যায়। শোনা যায় তাঁর কণ্ঠও।

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জানিয়েছেন, এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাইকমিশনার হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।

বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে হত্যার পর বিভিন্ন দেশে কূটনীতিকের চাকরি করেন নূর। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে হংকং থেকে পালিয়ে কানাডায় চলে যান। ২০০৬ সালে শরণার্থী আবেদন নাকচ করে তাকে দেশত্যাগের নির্দেশ দেয় কানাডা।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email