প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিতে সক্ষম হয়েছে। আর বিএনপি প্রহসনের নির্বাচনে ভোট চুরি করেছিল বলেই দেশের মানুষ আন্দোলন করে তাদের ক্ষমতা থেকে হটিয়েছিল। তাই আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
শনিবার চট্টগ্রামের আনোয়ারার কেইপিজেড মাঠে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মনে রাখা উচিত ওরা ভোট চোর, জনগণের অর্থ চোর। বিএনপি-জামায়াত মানেই খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী। আর আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ এই বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, আমি এমন একটা সময়ে বাংলাদেশে এসেছি যখন ঐ খুনিদের দল, যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায়। ওরা বারবার আমাদের ওপর আক্রমণ-হামলা চালিয়েছে। এরপরও নিজের জীবনের মায়া করিনি। বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমার বাবা জীবন দিয়েছেন- তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করবো। এ দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবেনা, ভূমিহীন থাকবে না, রোগে কষ্ট পাবে না। প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি। প্রত্যেক ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার সব রকমের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমার একটাই কাজ- দেশের মানুষের কল্যাণ, আর কোনো চাওয়া পাওয়া নেই।
নৌকায় মার্কায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন। নৌকা মার্কাই পদ্মাসেতু-মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল করে দিয়েছে। কাজেই এই উন্নয়ন ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। বিএনপি-জামায়াতের লুটেরা-সন্ত্রাসীদের হাতে যেন দেশ না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এর আগে, বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কর্ণফুলী নদীর উত্তর তীরে পতেঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নগরীর পতেঙ্গাকে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযোগকারী এ টানেলের ভেতর দিয়ে প্রথম যাত্রা করেন। টানেল অতিক্রম করে আনোয়ারায় টোল পরিশোধ করে কেইপিজেড মাঠে মহাসমাবেশে যোগ দেন তিনি।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সীলমোহর অবমুক্ত করেন শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত একটি ৫০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোটও অবমুক্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, বাংলাদেশে চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রমুখ।