মুনীর চৌধুরী: আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক হিসেবে গতবছরের ৭ ডিসেম্বর যোগদান করেন।
যোগদানের পর থেকে চট্টগ্রামপ্রেমি জেলা প্রশাসক ইতোমধ্যে স্মার্ট চট্টগ্রামের বিনির্মাণের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছেন এবং চলমান রয়েছে।চট্টগ্রামেই প্রথম ‘স্মার্ট আশ্রয়ন’ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
স্মার্ট চট্টগ্রাম-১২১ চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ অন্যান্যস্থানের খেলার মাঠসমূহের কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মাঠগুলো সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য চালু আছে ১০টি দ্বিতল বাস এবং আরো ১০টি নতুন বাস চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পর্যটকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে গত ১ জুলাই থেকে প্রতি শুক্রবার ও শনিবার শীতাতপ নিয়ন্ত্ৰিত মাইক্রোবাসে ফুল ডে ট্যুর সার্ভিস চালু করা হয়।
বিআরটিসির ২টি ডাবল ডেকার বাস (একটি ছাদখোলা বাস) নিউমার্কেট- টাইগারপাস-ডিসি পার্ক (ফৌজদারহাট)-পতেঙ্গা রুটে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য চলাচল শুরু করে। ছাদখোলা ডাবল ডেকার বাসের ধারণক্ষমতা মোট ৫৫ জন এবং অপর বাসটির ধারণক্ষমতা ৭৪ জন হিসাবে প্রতিদিন মোট ২৫৮ জন যাত্রী চলাচল করতে পারে।
ভূমি দ্য্যর্সু ও সন্ত্রাসীদের অপরাধের স্বর্গরাজ্য খ্যাত ১৯৪ একর সম্পত্তি উদ্ধার করে সেখানে দৃষ্টিনন্দন পার্ক তৈরী করেছেন। এছাড়া মহানগরের ফৌজদারহাটস্থ পোর্ট লিংক রোড সংলগ্ন সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সম্প্রতি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে প্রায় ৭৫০ একর জমিতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডিসি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯১টি ইউনিয়নে ১৯১টি খেলার মাঠ ও বিনোদন কেন্দ্র তৈরিতে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ইতোমধ্যে জেলার ১৫ উপজেলার ১৯১ জায়গা নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে।জেলা প্রশাসকের নানামুখী কর্মকাণ্ডে বাস্তবায়নের ফলে
চট্টগ্রাম বাসী সকল নাগরিক সেবাগুলো সহজে গ্রহণ করছে।জেলা প্রশাসক তার মেধা, শ্রম ও দূরদর্শীতার ফলে স্মার্ট চট্টগ্রামের বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম বাসীর অন্ততে ভালবাসার মানবিক মানুষ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।