(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচন নিয়ে শক্তিধর দেশগুলো কেন ‘মাথা ব্যথা’ বুঝতে পারছি না: কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট:  বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো কেন ‘মাথা ঘামাচ্ছে’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এ বছর আরও ২০ থেকে ২২টি দেশে নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু ঐ নির্বাচন নিয়ে কোথায় কারও কোনো কথা নেই। ইকুয়েডর রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে মেরে ফেলেছে। এইসব নিয়ে তো শক্তিধর দেশগুলোর কেউ কোনো কথা বলে না। তাহলে আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন বুঝতে পারছি না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে কৌশলগত ভাবে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ থাকতে পারে। কারণ এখন বিভিন্ন দেশের এ অঞ্চলকে ঘিরে জিওপলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজি আছে। সেখানে আমেরিকার একটা ইন্টারেস্ট আছে, ভারতেরও আছে। থাকাটা খুব স্বাভাবিক। ওদিকে চীনও একটা বড় শক্তি। তাদেরও ইন্টারেস্ট থাকবে।

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন নিয়ে অন্য কারও মাথাব্যথা। ভারত আমেরিকাকে তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের ওপিনিয়ন জানিয়েছে। তবে ভারত আমাদেরকে কখনও বলেনি তোমার নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আসো। নির্বাচনের সিস্টেম নিয়ে আমেরিকাও কিছু বলেনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, জাতীয় নির্বাচনের বাকি আর চার মাস। এই সময়টা সরকারের জন্য ‘চ্যালেঞ্জিং’। তবে আমরা মনে করি রাজনীতিতে, রাষ্ট্রীয় জীবনে, ব্যক্তিগত জীবনে কোনো চ্যালেঞ্জই অনতিক্রম্য নয়। সব চ্যালেঞ্জই অতিক্রম করা যায়। ইনশাল্লাহ আমরা অতিক্রম করব।

সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জনগণের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি, আমরা সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করব। সেটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমারা আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সব কিছু করব। যেভাবে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নির্বাচন হয় আমরা তার বাইরে যাচ্ছি না। আমরা বরং আমাদের নির্বাচন কমিশনকে স্বতন্ত্র করেছি। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র। এটা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীনস্থ কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। তাহলে এ অবস্থায় নির্বাচন হতে অসুবিধা কোথায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কখনও এসব বলেনি। বিএনপি যে দাবিগুলো নিয়ে গো ধরেছে, এগুলো করতেই হবে, তা না হলে নির্বাচন নয়- সেই দাবিগুলোর ব্যাপারে কিন্তু আমেরিকাও এযাবৎ কিছু বলেনি।

তিনি ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করেছেন জানিয়ে কাদের বলেন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কেউই বলেনি যে তত্ত্বাবধায়কের দরকার আছে। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করতে হবে। তাদের দেশে এটা নেই, দুনিয়ার কোথাও নেই, তাহলে কেন বাংলাদেশে হবে।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email