ডেস্ক রিপোর্ট: যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশের মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাজার ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান প্রতিহিংসাপরায়ণ ও স্বেচ্ছাচারী আওয়ামী সরকার কর্তৃক বিএনপিসহ বিরোধীদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নামে করা মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে, নির্বাচনের প্রাক্কালে অবৈধ সরকার এক গভীর মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে এগোচ্ছে। সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের পথরেখা আঁকছে।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মিথ্যা মামলায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবৈধ সরকারের অনাচার ও সীমাহীন ব্যর্থতার বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলনে জনস্রোত দেখে শাসকগোষ্ঠী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের চক্রান্তমূলক নীলনকশার অংশ হিসেবে মিথ্যা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদকে সাজা দিয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধীদলের অনেক নেতৃবৃন্দকে এমন সাজা দেওয়ার গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার নিজস্বার্থ রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী সরকার পথের কাঁটা সরানোর জন্য গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, হামলা-মামলা, গ্রেফতারের পর এখন মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া শুরু করেছে। তবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়ে আওয়ামী সরকারের জুলুম নির্যাতন প্রতিহত করতে জনগণ এখন দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এবারে জনগণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচন করতে দেবে না।অবিলম্বে রেদোয়ান আহমেদের সাজা বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আজ এলডিপির একাংশের মহাসচিব ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশও দেওয়া হয়েছে। পলাতক থাকায় রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।