ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ও জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম এর সহযোগিতায় সি আর বি শীরিষ তলায় বৃক্ষমেলা ২০২৩ শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মেলা শেষ হওয়ার আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে বৃক্ষপ্রেমীদের পদচারণায় মেলা প্রাংগন মুখরিত।
শহরের বৃক্ষপ্রেমিকরা মনে করেন যে, মেলার সময়কাল কিছুদিন বাড়ানো হলে বৃক্ষরোপণ অভিযান আরো সমৃদ্ধ হবে।যেহেতু পক্ষকাল পূর্বে চালু হওয়া মেলার প্রথম কয়েকদিন চট্টগ্রাম এ অতি বৃষ্টির কারণে জনসমাগম কম হয়েছিল।মেলা প্রাংগনে ঢুকে হাতের ডানদিকে সবার নজর কাড়ে আলওয়ান মধু জাদুঘরের স্টল্টি।
বিশিষ্ট মধু গবেষক জনাব মঈনুল আনোয়ার আমাদের প্রতিবেদককে জানান যে, বাংলাদেশের অহংকার সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছ যেমন সুন্দরী, গরান,গেওয়া, কেওড়া, বাইন প্রভৃতি গাছের চারা এনে চট্টগ্রামের মাটিতে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের পরিবেশ তৈরি করে তার মধু গবেষণাগার প্রাংগণে মিনি সুন্দরবন সৃজন করেছেন। এছাড়াও ছাদ বাগানে মৌচাক স্থাপনের মাধ্যমে মধু উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রদর্শন করেছেন।
প্রায় ২০ বছর বয়সি বট গাছ ও তেতুল গাছের বনসাই এর দেখা মিলেছে এ মেলায়।নানা প্রকার ও জাতের দেশী বিদেশি অর্কিড ও আছে যা বিক্রয় করা হচ্ছে।প্রচলিত বিভিন্ন বনজ ও ফলদ গাছের চারা বিভিন্ন স্থানীয় নার্সারিতে বিক্রি হচ্ছে সুলভ মূল্যে।প্রায় প্রতিদিনই কম বেশি বৃষ্টিপাত হ ওয়ায় মেলার পরিবেশ সবুজ ও প্রাণবন্ত।