ডেস্ক রিপোর্ট: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমতিক্রমে রুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর পদে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব রোখছানা বেগম সাক্ষরিত পরিপাত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম, পুরকৌশল বিভাগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ করা হলো ।
ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ বছর হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর পদের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। এ নিয়োগ তাঁর যোগদানের তারিখ হতে কার্যকর হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুলাইয়ের শেষ দিকে নিয়মিত উপাচার্য রফিকুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হয়। পরে ৩ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে রুয়েটের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ অনুষদের ডিন সাজ্জাদ হোসেনকে উপাচার্যের দৈনন্দিন কার্যসম্পাদনের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।
তবে চলতি বছর ২৮ মে পদোন্নতির দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন তিনি। তাঁকে নিয়োগের সময় শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষমতা দেওয়া হয়নি, এই কারণ জানিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে একাডেমিক পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়।
গত ২২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ সিরিজের (২০১৭ সালের) শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করেন। পরে বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। ২ আগস্টের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হবে বলে শিক্ষকেরা আশ্বস্ত করেন।পরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন। এরই মধ্যে ১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিয়ামুল বারিকে একাডেমিক কার্যক্রমের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বিভাগীয় প্রধান না থাকায় সব বিভাগের সঙ্গে পরীক্ষায় বসতে পারছিলেন না দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সেই শিক্ষার্থীদের একটি বিভাগ আবার আন্দোলনে নামেন।
রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেন বলেন, নিয়মিত উপাচার্য যোগদান করলেই রুয়েটের অচলাবস্থা দূর হয়ে যাবে। দ্রুতই তিনি এখানে যোগদান করবেন। নিয়মিত উপাচার্য পাওয়ায় রুয়েটের সবাই খুশি হয়েছেন।