ডেস্ক রিপোর্ট: কক্সবাজারে গণধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত দুই ভুয়া র্যাবকে আটক করেছে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল। আটককৃতরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার চৌধুরী পাড়ার ইউসুফের ছেলে জাহিদ হাসান ও চকনাধড়া পাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে সানোয়ার হাসান।
রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে র্যাব ১৫ এর মিডিয়া সেলে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাস টার্মিনাল এলাকায় রাজা গেস্ট হাউজ থেকে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, মো. ফজল করিম নামে এক ব্যক্তি সুগন্ধা বীচ হতে সিএনজি অটোযোগে নিজ বাসায় ফেরার পথে বাস টার্মিনালের অদূরে যানবাহন থেকে পৌর টোল আদায়কারী টোল আদায়ের লক্ষ্যে উক্ত সিএনজি’টি থামায়।
এ সময় ভুয়া র্যাব সদস্য পরিচয়দানকারী দুইজন ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে সেখানে হাজির হয়। হেড লাইটের উপরে র্যাব মনোগ্রাম লাগানো মোটর সাইকেলে আগত ০২ জনের মধ্যে একজন র্যাবের লগো সম্বলিত টি-শার্ট পরিহিত ছিল এবং নিজেদের র্যাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে সিএনজি’র যাত্রী ফজল করিম এর কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার)টাকা, ১টি Iphone11, ১টি Redmi Note 8 pro মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
তারপর রাজা গেস্ট হাউজের অন্য একটি কক্ষে অবস্থানরত রাঙ্গামাটি জেলা থেকে আগত এক পর্যটকে নিজেদের র্যাব পরিচয় দেয় এবং ওই পর্যটকের পরিচয় ও অন্যান্য বিষয়াদি জিজ্ঞাসাবাদের অজুহাতে তাকে পালাক্রমধর্ষণ করে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষতিতে র্যাবের একটি দল তাদের ওই গেস্ট হাউজ থেকে অপরাধীদের আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত জিনিসপত্র ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
র্যাব ১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম আটক আসামিদের বরাত দিয়ে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীরা উক্ত ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং ছিনতাই এর ঘটনার সাথে পৌর টোল আদায়কারী জাহিদুল ইসলাম এর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানায়।
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে পলাতক পৌর টোল আদায়কারী জাহিদুল ইসলাম’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।