(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: মঙ্গলবার, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৫

ডেস্ক রিপোর্ট মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।রবিবার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি অন্য একটি নৌযানের সহায়তায় টেনে তোলা হয়।এতে নিখোঁজ স্বজনদের মনে দেখা দিয়েছে হতাশা। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ পাঁচজন নিখোঁজের কথা বললেও নতুন করে কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিন নারীসহ দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ দুই শিশুর দাদা সিরাজদিখান উপজেলার কয়রাখোলা এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলামকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তিনি জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় আমার এক নাতি তুরান (৮) ও নাতনি নাভা (৫) নিখোঁজ রয়েছে। তাদের বাবা আরিফ হোসেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী। শিশুরা মা সমাপ্তির সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। ওই দুই শিশু সাঁতার জানতো না। ট্রলারডুবির পর মা সমাপ্তি সাতরিয়ে উঠলেও নিখোঁজ রয়েছে তার দুই শিশু।

নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, বৃষ্টি ও স্রোতে ট্রলারটি উদ্ধার করতে বেগ পেতে হচ্ছিল।স্থানীয়দের সহযোগিতায় নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএর সদস্যরা ট্রলারটির উদ্ধার কাজ শুরু করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া স্থান থেকে এয়ার লিফন্টিং ব্যাগ, ক্রেন বোটের সাহায্যে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারটি থেকে কয়েকটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে, তবে কারো মরদেহ পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, স্বজনদের দাবি ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো পাঁচজন নিখোঁজ। তাদের মধ্যে দুজন শিশু ও তিনজন নারী রয়েছে।শনিবার রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার রসকাঠি এলাকার তালতলা-গৌরগঞ্জ খালে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় মৃত আটজনের মধ্যে দুজন নারী, দুটি শিশু রয়েছে।মারা যাওয়া আটজন হলেন, মোকছেদা বেগম (৪০), হ্যাপি আক্তার (২৮), পপি আক্তার (৩০), পপির দুই ছেলে সাকিবুল (১০), সজিবুল (৪)। হুমায়রা (৫ মাস), ফারিয়ান (৮) ও রাকিবুল (১২)। তাদের সবার বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দি ইউনিয়নে।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email