(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১১ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

স্কুলে অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা প্রতিদিন জানাতে নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ব্যাপারে আরও কঠোর হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনুপস্থিত শিক্ষকদের ব্যাপারে এখন থেকে প্রতিদিন জানাতে হবে।

রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত ইস্যু করা চিঠিতে সই করেছেন মাউশির ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এ এস এম আব্দুল খালেক।জানা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। ১১ জুলাই থেকে তাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচি চলমান থাকা অবস্থায় গত ১৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। সেখানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের ঘোষণা আসে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, আগামী ডিসেম্বরে শীতকালীন ছুটির সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন ছুটি সমন্বয় করা হবে। এর আগে নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।এদিকে ছুটি বাতিল হওয়ায় রোববার থেকে স্কুলে স্কুলে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা এদিন ক্লাসে ফেরেননি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা স্কুলে ফিরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

এ অবস্থায় সারাদেশের স্কুলগুলোতে ক্লাসে অনুমতি না নিয়ে অনুপস্থিত থাকা সব শিক্ষকের তালিকা প্রতিদিন মাউশিতে পাঠাতে ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কার্যালয় থেকে রোববার আলাদা আলাদা নির্দেশ জারি করা হয়েছে।এতে বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষক/সহকারী শিক্ষক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে রোববার অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত রয়েছে তাদের নামের তালিকা সোমবার ২৪ জুলাই বেলা ১১টার মধ্যে পাঠানোর জন্য নির্দেশ করা হলো। আদেশের অনুলিপি ঢাকা অঞ্চলের সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।একই দিন আরেক চিঠিতে ছুটির অনুমোদন ছাড়াই স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩৪ জন শিক্ষককে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলেছে মাউশি। শোকজের চিঠিতে বলা হয়, জুন মাসে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় মাধ্যমিকের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ৩৪ জন শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে উপস্থিত না থাকার সুস্পষ্ট কারণ মাউশিতে পাঠাতে হবে।

অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) আওতায় মাধ্যমিক স্তরের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই শ্রেণির একাধিক শাখার শিক্ষার্থীদের এক কক্ষে একসঙ্গে পাঠদানের অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে একই শ্রেণির একাধিক শাখার শিক্ষার্থীদের এক কক্ষে পাঠদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাউশি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email