(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

২৬ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৫ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট: চলতি মে মাসের ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ১৫ হাজার ৩৩০ কোটি ৬ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা হিসাবে)।

রোববার (২৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশ করা প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৩০ ডলার করে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মে মাস শেষে প্রবাসী আয় দাঁড়াবে ১৬৯ কোটি ২৫ লাখ ডলারে। প্রবাসী আয় পরিস্থিতি আগের মাসের মতোই থাকবে। আগের মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৬৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

তবে আগের বছরের মে মাস ও চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্ট মাসের চেয়ে প্রায় ৪০ কোটি ডলার কম হবে। আগের বছরের মে মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০১ কোটি ডলার। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে প্রবাসী আয় আসে যথাক্রমে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ও ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের পরই তৃতীয় মাসে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধস নামে। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণে কমে যায় প্রবাসী আয়। এ সময় ব্যাংকিং চ্যানেল প্রবাসী আয় পাঠাতে নেওয়া বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের ফলে তা বাড়তে শুরু করে।

এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে, বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর বিপরীতে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা, আয় পাঠানো প্রবাসীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া; প্রবাসী আয় বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করা, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণে অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ।গেল এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ আবার কমে যায়। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হয়, এপ্রিল মাসে লম্বা ছুটি থাকার কারণে প্রবাসী আয় কমেছে। সে অনুযায়ী মে মাসের ২৬ প্রবাসী আয় কিছুটা বাড়লেও মার্চ মাস বা বছরের শুরুর দুই মাসের সমান প্রবাসী আয় আসেনি।তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, দুই বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১১ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৭ লাখ ডলার দেশে এসেছে।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email