ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রণয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এই আইনের খসড়া পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে শীঘ্রই সংসদে প্রেরণ করা হবে। এই আইন প্রণীত হলে মানুষ অনেক কষ্ট থেকে বাঁচবে এবং ভূমি সেক্টরে স্বচ্ছতা আসবে।
আজ চট্টগ্রামের জিমনেসিয়াম হলে ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন যৌথভাবে আয়োজিত ভূমি বিষয়ক জনসচেতনতামূলক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জনগণকে সেবা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের শতভাগ সফল ব্যবহারকারী এই মন্ত্রণালয়। আমাদের মৌলিক সেবাগুলোর প্রায় সবগুলো টেকসই করে ডিজিটাইজ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর শতভাগ ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমের মাধ্যমে গত ৪৩ দিনে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩শ’৫০ কোটি টাকা, যা বছরে ২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চলমান ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত জমির মালিকদের দুর্দশা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমিমন্ত্রী এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে ভূমিসেবা গ্রহীতারা স্মার্ট ভূমিসেবা গ্রহণে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। একই সাথে স্মার্ট ভূমিসেবার ওপর একটি সচিত্র উপস্থাপনা তুলে ধরেন জেলার বোয়ালখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন।
পরে তিনি প্রত্যাশী সংস্থার অনুকূলে অধিগৃহীত জমির খতিয়ান ও ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ক্ষতিপূরণর চেক হস্তান্তর করেন এবং ভূমিসেবা প্রদর্শন স্টল পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে ভূমি সেবা গ্রহীতা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্তরের ভূমি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন অংশীজনসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
—– বাসস