ডেস্ক রিপোর্ট: বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়।আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস লাঙ্গল, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম হাতপাখা এবং জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চুকে দলীয় প্রতীক গোলাপ ফুল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন টেবিল ঘড়ি, আসাদুজ্জামান আসাদ হরিণ ও আলী হোসেন হাতি প্রতীক পেয়েছেন।প্রতীক হাতে পেয়ে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘নির্বাচিত হলে মেয়রের সঙ্গে জনগণের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা দূর করা হবে। একইভাবে নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তিলোত্তমা বরিশাল গড়ে তোলা হবে। সেখানে যত সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের চেষ্টা থাকবে।’
লাঙ্গলের প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‘গাজীপুরের সিটি নির্বাচন এবং একটি দূতাবাসের যে চিঠি তা মানুষের মনে কাছে পৌঁছে যাওয়ার ফলে মানুষ ভোট দানে আগ্রহী হয়েছে।’আগামী ১২ জুন একইভাবে ভোটাররা বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আশা করেন তিনি।তাপস বলেন, ‘বরিশালের ২৬টি খাল পুনরায় উদ্ধার এবং জলাবদ্ধতা দূর করাসহ নগরীকে আইটি নগরীতে পরিণত করার ইচ্ছা রয়েছে। এ জন্য নগরবাসীকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৪২ জনের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তবে এ ক্ষেত্রে একই ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী একই প্রতীক দাবি করলে লটারির মাধ্যমে তা সমাধান দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরনবিধি মেনে চলার আনুরোধ জানিয়ে প্রচার-প্রচারণার সময়সীমা বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। একজন মেয়র প্রার্থী একটি থানা এলাকায় একটির বেশি নির্বাচনী কার্যালয় করতে পারবেন না। আশা করছি প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাবেন। বিশেষ করে মাইকিংয়ের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’
আগামী ১২ জুন নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৫৮ বর্গকিলোমিটার নগরীতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।