(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: মঙ্গলবার, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিতে বিএনপির মৌন সম্মতি আছে : ওবায়দুল কাদের

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিতে বিএনপির মৌন সম্মতি আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ওসেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিতে বিএনপিরমৌন সম্মতি আছে। এটা স্লিপ অফ টাং নয়।’
ওবায়দুল কাদের আজ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ সড়ক ভবনে ‘বারইয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড়’ সড়ক প্রশস্তকরণ কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বিএনপি এক দফা বাস্তবায়ন করতে চায় কিনা প্রশ্ন করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও ভালোভাবে নেননি। কিন্তু বিএনপির কোন দায়িত্বশীল নেতা এ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেননি।
তিনি বলেন, বিএনপির একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এটি মুখ ফসকে বলেছে। যিনি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি বিএনপির কোন সাধারণ কর্মী নন। জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি যা বলেছেন সেটা বিএনপিরই কথা। ২৭ দফা, ১০ দফা নয়, এক দফায় এসেছে তারা। তাহলে কি ধরে নিবো -শেখ হাসিনাকে হত্যা করে তারা এক দফা বাস্তবায়ন করতে চায়। এ ব্যাপারে বিএনপি কী বলে সেটা শুনতে চাই।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। যারা নির্বাচন প্রতিরোধ করতে আসবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
মঙ্গলবার ঢাকায় বিআরটিসির গাড়িতে আগুন ও পুলিশের উপর হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস করবে, এটা তাদের পুরনো স্বভাব। উদ্ভূত পরিস্থিতি বলে দেবে কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। আর রাজনীতির একটা ভাষা আছে। রাজনৈতিকভাবে সেটা মোকাবেলা করবো। আমরা সহিংসতায় যাব না।
এর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে ‘বারইয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড়’ সড়কের প্রশস্তকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে রক্তের রাখি বন্ধনে বাংলাদেশ আবদ্ধ। ভারতের সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করলে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগোতে পারবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, একাত্তরে রক্তের রাখি বন্ধন তৈরি হয়েছে ভারতের সঙ্গে। এই সম্পর্ক ৭৫-এর পরে ২১ বছরে শিথিল হয়েছে। এখনো কিছু সমস্যা বিদ্যমান থাকলেও ব্যবধান কমেছে।
তিনি বলেন, ভারত প্রতিবেশী দেশ, তারা হোস্টাইল করলে বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে যেত। এখন দুই দেশই উপকৃত। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে দিচ্ছে না সরকার।
অনুষ্ঠানে ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক।
এছাড়া সংসদ সদস্য সৈয়দ নাজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এবং ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

—- বাসস

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email