ডেস্ক রিপোর্ট:গ্রিস নির্বাচনে রীতিমতো তাক লাগিয়েছে ক্ষমতাসীন পার্টি ‘দ্য নিউ ডেমোক্রেটিক’। ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হয়ে শোরগোল বাধিয়েছে গ্রিসের অলিগলিতে। জয়ের পুনরাবৃত্তিকে ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’ হিসাবে দেখছে বিজয়ী নেতা প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস। ভরাডুবি হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থি সিরিজা পার্টির।
রোববার দেশটির জাতীয় নির্বাচন শেষে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ‘নিউ ডেমোক্রেটিক’ পার্টির ঝুলিতে ৪১ শতাংশ ভোটার সমর্থন দিলেও সিরিজা পার্টির ভাগ্যে জুটেছে মাত্র ২০ শতাংশ ভোট। বিজয়ী ভাষণে মিৎসোটাকিস বলেন, ‘জনগণ চেয়েছিল গ্রিস একটি একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার দ্বারা পরিচালিত হোক এবং নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি অন্যের সাহায্য ছাড়াই পরিচালিত হতে পারে।’
গ্রিস পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫১ আসনের প্রয়োজন। বিজয়ী দল ঘরে এসেছে ১৪৬টি ভোট। অর্থাৎ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় থাকতে আরও ৬টি আসনের প্রয়োজন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে পার্টিপ্রধানকে জোট সরকার তৈরি করতে হবে অথবা নতুন নির্বাচন চাইতে হবে।
গ্রিসের নির্বাচনের নিয়মানুযায়ী, প্রথম নির্বাচনে জয়ী দল দ্বিতীয় নির্বাচনে অতিরিক্ত আসন পেতে পারে। মিৎসোটাকিসের নজর এখন সেদিকেই। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একক অবস্থান টিকিয়ে রাখতে দ্বিতীয়বার নির্বাচনেরই সংকেত জয়ী দলের। সম্পূর্ণ আসনসংখ্যা নিশ্চিত করে নিজের পছন্দমতো মন্ত্রিসভা দিয়ে চার ক্ষমতায় আসার পরিকল্পনা। চার বছর আগেও ৪১ শতাংশ ভোট দিয়ে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা যথেষ্ট ছিল। তবে কালের ধারায় নিয়ম বদলেছে। এখন সরকার গঠনে ৪৫ শতাংশ ভোটের প্রয়োজন কেননা বিজয়ী দল প্রথম রাউন্ডে ৫০টি আসন বোনাস পাওয়া অসমীচীন।