ডেস্ক রিপোর্ট: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘সামরিক কর্মকাণ্ডের’ জন্য চীনকে সতর্ক করেছে জি৭ নেতারা। বলেছেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে জি৭-এর ‘গঠনমুলক ও স্থিতিশীল সম্পর্ক’ চান তারা। হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত এই গ্রুপের সামিটে চূড়ান্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে তারা সহযোগিতার দরজা খোলা রাখার কথা বলেছেন। বলেছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের সঙ্গে জাপান সহ পশ্চিমা বড় বড় শক্তিধর গ্রুপগুলোর মধ্যে আরও জ্বালাময়ী উত্তেজনা এড়ানোর চেষ্টা করবেন। জি৭-এর চূড়ান্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের নীতি চীনের কোনো ক্ষতি করা নয়। আমরা চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অথবা উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চাই না। তবে পরিষ্কার করা হয়েছে যে, কূটনৈতিক বিরোধে চীনের স্বেচ্ছায় বাণিজ্যিক পদক্ষেপ নেয়ায় ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই ব্লক। একই সঙ্গে স্পর্শকাতর সরবরাহ চেইনকে চীনের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে সংকল্পবদ্ধ জি৭। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিকীকরণের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জি৭।
বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। জি৭ সম্মেলন থেকে চীনকে আহ্বান জানানো হয়, তারা যেন তাদের প্রভাব ব্যবহার করে রাশিয়াকে সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়। এটা হতে হবে অবিলম্বে। ইউক্রেন থেকে রাশিয়াকে পুরোপুরি এবং শর্তহীনভাবে সেনা প্রত্যাহারে যেন রাজি করায় চীন।