ডেস্ক রিপোর্ট: মৌলভি আবদুল কবিরকে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ মে) তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত ছিলেন মৌলভি আবদুল কবির। ২০২০ সালে কাতারের দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের চুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
মোল্লাহ মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মৌলভি আবদুল কবির। ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখন্দ অসুস্থতায় ভুগছেন। তাই মৌলভি আবদুল কবিরকে এ পদে সাময়িক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আবদুল কবিরই তালেবানের সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৬০ বছর বয়সী মৌলভি আবদুল কবির পূর্ব পাকতিয়া প্রদেশের জাদরান গোত্রের মানুষ। ২০০১ সাল থেকে তিনি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন। ২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনে তালেবান সরকার উৎখাত হওয়ার পর তিনি পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর মৌলভি কবিরকে প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দের সরকারের অর্থনীতিবিষয়ক সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সর্বশেষ তিনি তালেবানের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০২১ সালের আগস্টে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর ৭৮ বছর বয়সী আখুন্দ তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি কী ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন, তা আফগান সরকারের বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়নি।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন মতে, ঈদের ছুটিতে কান্দাহারে যাওয়ার পরে মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তিনি আর কাজে ফিরতে পারেননি। এছাড়াও তিনি আরো কিছু অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এ কারণে তিনি কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম চাইছিলেন। ফলে তার স্থানে মোল্লা আবদুল কবিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে বলেন, হাসান আখুন্দ কিছুদিনের জন্য কান্দাহারে বিশ্রামে রয়েছেন। এ অবস্থায় প্রশাসনিক কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে একজন তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করা প্রশাসনের একটি স্বাভাবিক বিষয়। আমরা আশা করছি, শিগগিরই হাসান আখন্দ পুনরায় দায়িত্ব পালন করতে কাবুলে ফিরে আসবেন।