ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে থেকে এবার মিলেছে ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার টাকা। ঐতিহাসিক এই মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এতো টাকা পাওয়াটা নতুন রেকর্ড।আটটি দানবাক্সে এবার ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। পরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। গণনার কাজে প্রায় ২০০ জনের ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। গণনা শেষে পাওয়া গেছে মোট ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার টাকা।
শনিবার (৬ মে) সকাল ৮টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। দানবাক্সগুলো থেকে প্রথমে টাকা বের করে বস্তায় ভরা হয়।কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী রাত ৯টার দিকে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।এছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।টাকা গণনার কাজে মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।টাকা গণনার সময় সিনিয়র সহাকরী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, কিশোরগঞ্জের পৌর মেয়র ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ মিয়া গণনার কাজ পরিদর্শন করেন।