(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালু করল সৌদি

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে দেশটিতে যেতে বাংলাদেশিদের আর স্টিকার ভিসার প্রয়োজন হবে না।সোমবার দুপুরে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসে এই ই-ভিসার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

সৌদি আরবের নতুন ই-ভিসা ব্যবস্থায় প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান।সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, গত একবছর ধরে এই কার্যক্রম চলছিল। এখন ভিসা স্টিকার ব্যবস্থা বাতিল করে ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু হলো। সৌদি আরবের ভিশন হচ্ছে সব প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করার এবং এর ফলে গোটা ব্যবস্থা সহজ হবে।

রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, এখন থেকে একটি এ ফোর সাইজের পেপারে ভিসা প্রিন্ট দেওয়া হবে। পেপারের নিচে একটি বারকোড আছে, যেখানে সব তথ্য জমা থাকবে। নতুন ব্যবস্থার কারণে শ্রমিক, চাকরিদাতা, মেডিকেল সেন্টারসহ অন্যান্য সবাই উপকৃত হবেন।রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আগে ভিসা স্টিকারে শুধু আরবি ভাষায় তথ্য লেখা থাকত। বর্তমানে ই-ভিসা পদ্ধতিতে আরবি ও ইংরেজিতে তথ্যগুলো থাকার কারণে বাংলাদেশিরা সহজে বুঝতে পারবেন। কতদিনের ভিসা বা কী ধরনের ভিসা।

দালালদের দৌরাত্ম্যের কারণে শ্রমিক, চাকরিদাতা ও কর্তৃপক্ষ সমস্যায় পড়ে জানিয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘শ্রমিকদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে এসব দালাল টাকা নেয়। কিন্তু এর জন্য শ্রমিক বা চাকরিদাতা কেউই দোষী না বরং ওই দালালরা দোষী। আমি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছে আহ্বান জানাই যাতে করে তারা শ্রমিকদেরকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে। শ্রমিকরা যাওয়ার আগে যেন জানে যে, তাদের বেতন কত এবং কোথায় কিভাবে কাজ করবেন।’

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘অনেক সময় শ্রমিকদের ব্ল্যাকমেইল করা হয়। তাদেরকে বলা হয়, সৌদি দূতাবাস টাকা খায়। কিন্তু আমি বলতে চাই, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সৌদি আরবে এখন কোনো ফ্রি ভিসা নেই। শ্রমিকদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হয়। শ্রমিক ভিসার মেয়াদ দুই বছর।’

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email