(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

নূন্যতম ২২০০০ টাকা বেতন চান পোশাক শ্রমিকরা

ডেস্ক রিপোর্ট: গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের শ্রমিক-কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও ন্যূনতম মজুরি ২২০০০ টাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন।সোমবার (১ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম।

সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা বেগম বলেন, মুনাফা লোভী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অমানবিক নিপীড়নের ঐক্যবদ্ধ শ্রমিকের ঐতিহাসিক বিজয়ের ফলে এই মে দিবস, যা যুগের পর যুগ সারা বিশ্বের শ্রমজীবী জনগণকে আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৪৯ ধারা অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর ন্যূনতম মজুরি হার সুপারিশের বিধান এবং ১৪০ (ক) ধারায় বিশেষ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় নতুনভাবে মজুরি কাঠামো ঘোষণা বিধান আছে।তিনি বলেন, পাঁচ বছর পর পর মজুরি বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণের আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও মজুরি কাঠামো গঠনের কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা দেখা যায়নি। বিশ্ববাজারের দোহাই এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে ক্রমাগত পণ্যমূল্য বাড়ছে এবং বাড়ি ভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। এর ফলে শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রকৃত মজুরি অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় শ্রমিকরা অপুষ্টি আর কঠিনতম জীবনযাপন করছে। এ অবস্থায় গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকাসহ মজুরি কাঠামো ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

সমাবেশে থেকে ৮টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- ৭ম গ্রেডের শ্রমিকদের জন্য ৬৫ ভাগ মূল মজুরিসহ ২২০০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা, শ্রমিক সংগঠনের প্রস্তাবনা বিবেচনায় নিয়ে শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন প্রণয়ন, আইএলও কনভেনশন-১০২, ১৮৯ ও ১৯০ অবিলম্বে অনুসমর্থন, শ্রমজীবী মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে রেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে স্বান্ধ্যকালীন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল সেক্টরে মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস, আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ দেওয়া, বাংলাদেশ এমবিধিমালায় সন্নিবেসিত শ্রমিক স্বার্থবিরোধী বিধিগুলো বাতিল করা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাদিজা রহমান, সহ- সভাপতি সুইটি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া ইসলাম, মিরপুর আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. তাহেরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, সংগঠক জোসনা বেগম, সালমা বেগম, রোকসানা, আমেনা, সোনিয়া প্রমুখ।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email