(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: বুধবার, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

বর্ণিল সাজে সেজে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০-এর মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট:  বর্ণিল সাজে সেজে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০-এর মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা থেকে শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে।
উৎসবপ্রিয় বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা বর্ষবরণের প্রধান অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান থেকে নেওয়া ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’।
সকালে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। শোভাযাত্রায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো রয়েছে পুরো এলাকা।
শোভাযাত্রায় এবার স্থান পেয়েছে পাঁচটি মোটিফ। মোটিফ পাঁচটি হলো- টেপা পুতুল, ময়ুর, নীল গাই, হাতি ও বাঘ। এ ছাড়া শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণকারীদের হাতে ছিল বিভিন্ন আকৃতির মুখোশ। চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার পর ঢোলের তালে তালে নাচতে শুরু করেন অংশগ্রহণকারীরা। অনেকেই রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা উপভোগ করেন। শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা বিদেশি নাগরিকদেরও। তারাও সেজেছেন বাঙালি সাজে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের সমাগম বাড়তে থাকে। গত বছরের মতো এবারও তুলনামূলক লোক সমাগম ছিল কম। বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানে আগত নারীদের পরনে শোভা পায় লাল-সাদা পোশাক, মাথায় নানান রঙ্গের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে হলুদ- লাল-সাদা পাঞ্জাবি।
শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। প্রথমে এলিট ফোর্স র‌্যাব, সোয়াট টিম, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ। এছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের টিমও তৎপর ছিল।
গতবারের মতো এবারও মুখোশ ব্যবহার ও ভুভুজেলা বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। নিরাপত্তার জন্য রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় কেন্দ্রীয় রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email