(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: মঙ্গলবার, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

প্রথমবারের মতো বিমানবাহী রণতরী বানাল তুরস্ক

ডেস্ক রিপোর্ট:  বিশ্বের ১৩তম দেশ হিসেবে বিমানবাহী রণতরীর মালিক হলো তুরস্ক। মুসলিম বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তুরস্ক এরকম রণতরী তৈরী করল, যার ৭০ শতাংশ সামগ্রী নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। এর নাম দেওয়া হয়েছে টিসিজি আনাদুলু।তুরস্কের তৈরি ড্রোন এবং এট্যাক হেলিকপ্টারগুলো এখন গভীর সাগরের মাঝ থেকেও উড়তে পারবে। রণতরীটিতে ১০টি হেলিকপ্টার রানওয়েতে এবং ১৯টি হেলিকপ্টার হ্যাঙ্গারে রেখে যুদ্ধকালীন বা প্রয়োজনের সময় উড়তে পারবে।

রণতরীতে রয়েছে ১২২৩ জন সৈন্য ও স্টাফের আবাসনের ব্যবস্থা। আছে হাসপাতালসহ আধুনিক সব ব্যবস্থা। তুরস্কের বাইরাক্তার, কিজিলেলমা ড্রোন, হারজে লাইট অ্যাটাক এয়ারক্রাফটসহ মনুষ্যবাহী ও মনুষ্যবিহীন বিভিন্ন ধরনের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণের ব্যবস্থা রয়েছে আনাদোলুতে।৭৫৮ ফুট দীর্ঘ এ রণতরী একই সঙ্গে যুদ্ধবিমান, সামরিক যানবাহন ও ড্রোন বহন করবে এবং যেকোনো সময় ঘাঁটি থেকে সহায়তা নেওয়া ছাড়াই অন্তত এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য যেকোনো জায়গায় স্থানান্তর ও মোতায়েন করতে সমর্থ হবে।

যুদ্ধজাহাজ হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, টিসিজি আনাদুলু হচ্ছে তুর্কি শতাব্দীর প্রতীক। এটা বিশ্বের প্রথম যুদ্ধজাহাজ যেখানে ড্রোন উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে।তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোনো জায়গায় সামরিক অভিযান চালাতে সক্ষম টিসিজি আনাদোলু। এর সুবাদে আমরা সংকটগ্রস্ত এলাকাগুলোতে স্বল্প সময়ে মানবিক ও সামরিক কার্যক্রম চালাতে পারব। এবার পূর্ণাঙ্গ বিমানবাহী রণতরী তৈরিতে আমরা মনোনিবেশ করব।তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, টিসিজি আনাদোলুর ওয়েপন সিস্টেম, কমব্যাট ম্যানেজমেন্ট, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, ইনফ্রারেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সার্চ, লেজার ওয়ার্নিং, টর্পেডো ডিফেন্স সিস্টেম ও রাডার স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।৭৫৮ ফুট দীর্ঘ ও ১০৫ ফুট প্রশস্ত টিসিজি আনাদোলু নির্মিত হয়েছে ইস্তাম্বুলের সেদেফ শিপইয়ার্ডে। এর গতি ঘণ্টায় ২১ নটিক্যাল মাইল। এটি একনাগাড়ে ৫০ দিন সমুদ্রে অবস্থান করতে সক্ষম।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email