(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: বুধবার, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ইউএনওদের ক্ষমতা খর্ব করে দেওয়া রায় স্থগিত

ডেস্ক রিপোর্ট: উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ক্ষমতা খর্ব করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় আগামী ৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।বুধবার (৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।গত ২৯ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন। ওই ধারায় বলা হয়েছে-

১. উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন।

২. পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি মাধ্যমে নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করবেন।

হাইকোর্টের রায়ের ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকল না বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।ওই দিন আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেছিলেন, উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা সাংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে ৩৩ ধারা বাতিল করেছেন আদালত।

২০২০ সালে ৭ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ, অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান, গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিনা পারভীন, কালিয়াকৈর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার ।এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন বাতিল করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এদিকে ২০২১ সালের ১৫ জুন উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ক্ষমতা দেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ তিনজন। তাদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ধারা ১৩ (ক) ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email