(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: মঙ্গলবার, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই করেছে বিএনপি-পন্থীরা : তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট:  তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই করেছে বিএনপি-পন্থীরা।
তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপি-পন্থীরা ব্যালট ছিনতাই করেছে। গতকাল ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা এই যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে, বিচার বিভাগের ইতিহাসে, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে কালিমা লেপন করেছে।’
মন্ত্রী আজ দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় এ কথা বলেন। মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি’র সভাপতিত্বে সভায় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
ড. হাছান বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে, ইতিপূর্বে বিএনপির আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। গতকাল তারা ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে। তারা আসলে প্রতিষ্ঠানকেই ধ্বংস করতে চায়। কোনো প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলুক সেটি তারা চায় না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জানে যে, তারা ঢাকা বার নির্বাচনে হেরেছে, সেখানে হারার পর তারা বুঝতে পেরেছে যে, সুপ্রিম কোর্টে তাদের হার নিশ্চিত। সে কারণে তারা প্রথমে ভোট বর্জনের নাটক পরে আবার ব্যালট পেপার ছিনতাই করলো। সুতরাং এভাবে তারা সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চায়। তারা আগামী নির্বাচনকেও বাধাগ্রস্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন কারো জন্য থেমে থাকবে না, ২০১৪ সালের নির্বাচন যেমন কারো জন্য থেমে থাকে নাই, ২০১৮ সালের নির্বাচনও কারো জন্য থেমে থাকে নাই, আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যে নির্বাচন কিম্বা এ বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনও কারো জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমান নির্বাচন চায় না, বেগম খালেদা জিয়াও নির্বাচন চায় না। কারণ উনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। উনারা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এ জন্য উনারা নির্বাচন চায় না। তবে আপনাদের অনেক নেতা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও আমি বলতে পারি বিএনপির নেতারা নির্বাচন করবে। সুতরাং নির্বাচন সবাইকে নিয়েই হবে ইনশাআল্লাহ।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি মহিলা আওয়ামী লীগকে বলবো আমাদের নির্বাচন সন্নিকটে, দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী, সুতরাং নারীদের কাছে ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার ইতিহাস ও বন্দনা পৌঁছে দিতে হবে, নারীদেরকে সংগঠিত করতে হবে। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে যেভাবে বদলে দিয়েছেন, নারীদের সামাজিক মর্যাদা যেভাবে উন্নীত করেছেন, এই বদলে যাওয়ার কাহিনীটা তাদেরকে শোনাতে হবে। আমরা যদি সঠিকভাবে শোনাতে পারি, নারীরা অবশ্যই অন্য কোথাও ভোট দেবে না। আমি আপনাদের অনুরোধ জানাবো সেই মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম নারী চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম এনডিসি, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য ফারজানা ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় কারাতে খেলোয়াড় মারজানা আক্তার প্রিয়া, প্রথম নারী মেট্রোরেল অপারেটর মরিয়ম আফিজা ও প্রথম নারী ট্রেন অপারেটর আসমা আক্তারকে সম্মাননায় ভূষিত করেন অতিথিবৃন্দ।

 

 

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email