
ডেস্ক রিপোর্ট: কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো যৌথভাবে আয়োজন করবে ২০২৬ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় যৌথ আয়োজন। ২০০২ বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজিত হয়েছিল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়। এশিয়া মহাদেশে সেটি ছিল প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজন। উত্তর আমেরিকার সেই আসরে ৪৮টি দল অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে, সেটা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবে বাড়বে ম্যাচসংখ্যা।
রুয়ান্ডার কিগালিতে ফিফা কংগ্রেসের আগে সংস্থাটির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, আগামী বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে ২০২৬ সালের ১৯ জুলাই। সেই আসরে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বকাপে প্রথাগত ৬৪ ম্যাচ হলেও ২০২৬ সংস্করণে ১০৪টি ম্যাচ হবে। ৪৮টি দলকে ভাগ করা হবে ১২টি গ্রুপে। প্রতিটি গ্রুপে দল থাকবে ৪টি করে। ৩২ দলের বিশ্বকাপে সাধারণত গ্রুপের শীর্ষ দুই দল পরের রাউন্ডে স্থান করে নেয়। তবে ৪৮ দলের টুর্নামেন্টে তৃতীয় স্থান অর্জন করা সেরা ৮টি দল পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেবে।
ফিফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলই যেন কমপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়, সেটি বিবেচনা করেই এমন ফরম্যাট। একই সঙ্গে এ ফরম্যাটে বিশ্বকাপের সময় দলগুলো ঠাসা সূচি থেকে রেহাই পাবে। খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত হবে।
মধ্যপ্রাচ্যে গরম মাথায় রেখে কাতারে নভেম্বর-ডিসেম্বরে সূচি ঠিক করেছিল ফিফা। ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে আবার জুন-জুলাই চক্রে ফিরতে যাচ্ছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। তিন আয়োজকের মধ্যে কানাডাতেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মেক্সিকো এর আগে দুবার (১৯৭০ ও ১৯৮৬) বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ হয়েছে ১৯৯৪ সালে।
১৯৯৮ সাল থেকে (ফ্রান্স বিশ্বকাপ) ৩২ দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছে। এর আগে স্পেনে অনুষ্ঠিত ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৪ দল নিয়ে। ৩২ দলের বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে নির্দিষ্ট দলকে ৭টি ম্যাচ জিততে হয়েছে। ২০২৬ থেকে শিরোপা জিততে ৮টি ম্যাচ খেলতে হবে দলগুলোকে।