ডেস্ক রিপোর্ট: শতভাগ শর্ত পূরণ না করলে নতুন কোনো দল নিবন্ধন পাবে না, এক্ষেত্রে একশোতে একশ পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।রোববার (১২ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।মো. আলমগীর বলেন, নিবন্ধন পেতে যেসব দল আবেদন করেছে এদের মধ্য থেকে কোনো শর্টলিস্ট করা হয়নি। শুধুমাত্র যারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে, দুটো দল; তারা ব্যতীত অন্যদের মধ্যে যাদের কাগজপত্র শর্টেজ ছিল ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। যারা দিয়েছেন তাদেরগুলো আমরা দেখবো। আর যারা দিতে পারেননি, সেগুলোও আমরা দেখবো। তারপর কমিশন দেখবে যাচাই-বাছাই করে। যাচাই-বাছাই শুরু হয়ে গেছে। মে মাসের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষ হবে। জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপিকে তো নিবন্ধন দিয়েছি। আমাদের তো আর কিছু করার নেই। উনি মারা গেছেন। উনার দলের যারা আছেন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী চেয়ারম্যান কে হবেন বা কী হবে। সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া বিধি অনুযায়ী হবে।নতুনদের অনেকেই সরকার দলের পছন্দের বাইরে আছে। এক্ষেত্রে প্রভাবমুক্ত থেকে নিবন্ধন দেবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন ও বিধি অনুযায়ী যারা পাওয়ার যোগ্য তারা নিবন্ধন পাবে। যারা পাওয়ার যোগ্য নয় তারা পাবে না। আইনের বাইরে কোনো কিছু বিবেচ্য বিষয় নেই। যাদের কাগজপত্র ঠিক আছে, তাদেরটাই কেবল মাঠ পর্যায়ে যাচাই হবে। বাকিগুলো হবে না।
আলমগীর বলেন, কোনো রাজনৈতিক সুপারিশ আসেনি। কোথাও থেকে কোনো সুপারিশ আসবেও না। কমিশন আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কারো ভাবনা দ্বারা পরিচালিত হয় না। আইন ও বিধিতে যা কিছু দেওয়া আছে সে শর্ত যারা শতভাগ পূরণ করতে পারবে তারা নিবন্ধন পাবে। যারা মাত্র একটি পূরণ করতে পারবে না, তারা পাবে না।অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনে বলা আছে কোনো মতামত আদর্শ হলে পাবে। স্পষ্ট করেই বলা আছে। আমাদের বলার কিছু নেই। যেমন যদি মনে করেন ধর্মীয় বা জাতিগত বৈষম্য রাখা হয়, ঘৃণা ছড়ানো হয় এমন কিছু গঠনতন্ত্রে থাকে। তাদের যে কমিটি যেগুলো আছে, সেগুলো ঠিকমতো না হলে সংবিধানবিরোধী কিছু থাকলে পাবে না। একশতে একশ পেতে হবে। নিরানব্বই পেলেও হবে না।আলমগীর বলেন, আইন ও বিধির বাইরে কিছুই চলবে। আমরা আইন ও বিধি অনুযায়ী দেখবো। অন্য কিছু দেখার সুযোগ নেই।