ডেস্ক রিপোর্ট: কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুই দেশের আলোচনায় এই সমঝোতা হয়েছে।সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে একটি বিবৃতিতে জানায়, তিন দেশের আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে সৌদি আরব ও ইরান।
বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, বৈঠকের ফলে দুই মাসের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দূতাবাস পুনরায় খোলার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইরান ও সৌদি আরব।ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পর রাষ্ট্রদূত বিনিময়ের প্রস্তুতি নিতে সাক্ষাৎ করবেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ২০১৬ সাল থেকে তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ রয়েছে। তবে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে দুই দেশই। গত কয়েক বছরে ইরাকের বাগদাদে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়। এ বিষয়ে ইরাকের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ওমানও।এর আগে এক দিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব সরকার, যাদের অধিকাংশ শিয়া মুসলিম। শিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী এক ধর্মীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রতিবাদে তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। ওই ঘটনার জেরেই ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতি টানে।
এ ছাড়া ইয়েমেন যুদ্ধে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। ইয়েমেন সরকারের পক্ষে রয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন ইরান-সমর্থিত হুতি যোদ্ধারা।এদিকে ইরান-সৌদি সম্পর্কের উন্নয়ন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।আলজাজিরার সাংবাদিক আলি হাশেম বলেন, ‘এই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ হলেই এ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়। যেমন ইয়েমেন ও লেবাননের কথা বলা যায়। এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা এসব দেশে তাদের মধ্যে সমঝোতা দেখতে পাব। এই চুক্তি এ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। এসব দেশে তাদের অনেক স্বার্থ রয়েছে।’