(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১১ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

ডেস্ক রিপোর্ট: তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে স্মরণীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০ ওভারের ক্রিকেটে এর আগে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। দুই দলের দ্বিতীয় সাক্ষাতে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। ১৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১২ বল হাতে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন লিটন দাস। এরপর ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন দলে সুযোগ পাওয়া রনি তালুকদার। এই ওভার থেকে ১০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এরপর ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে চার মারেন রনি। পঞ্চম বলে ফের চার মারেন রনি। এই ওভার থেকে ১১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন জোফরা আর্চার। ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন লিটন। এরপর ওভারের শেষ বলে চার মারেন রনি। এই ওভার থেকে ১১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে স্পিনার আলিদ রশিদকে বোলিংয়ে আনেন বাটলার। ওভারের দ্বিতীয় বলে রনিকে বোল্ড করেন রশিদ। দলীয় ৩৩ রানে ১৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রনি। ক্রিজে এসে ওভারের শেষ বলে চার মারেন শান্ত।এরপর ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন আর্চার। ওভারের পঞ্চম বলে লিটন দাসকে আউট করেন আর্চার। দলীয় ৪৩ রানে ১০ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়।হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন শান্ত। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ওকসের বলে টানা চারটি চার মারেন শান্ত। এই ওভার থেকে ১৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের অষ্টম এক চারের সাহায্যে ১১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।ইনিংসের নবম ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন স্যাম কুরান। ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন শান্ত। এই ওভার থেকে ৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এরপর ইনিংসের দশম ওভারে চতুর্থ বলে চার মারেন শান্ত। এই ওভার থেকে ৮ রান নেয় বাংলাদেশ।ইনিংসের ১১ তম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান হৃদয়। অন্যদিকে ২৭ বলে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন শান্ত। তবে দলীয় ১০৮ রানে ১৭ বলে ২৪ রান করে আউট হন হৃদয়।এরপরে দলীয় ১১২ রানে সাজঘরে ফিরে যান শান্ত। ৩০ বলে ৫১ রান করে আউট হন শান্ত। শান্তর বিদায়ের পর আফিফ হোসেন ও সাকিব মিলে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। এই দুই ব্যাটারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের সুবাস পেতে থাকে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত আর কোন উইকেট না হারিয়ে ১২ বল হাতে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। সাকিব ২৪ বলে ৩৪ ও আফিফ ১৩ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। এই জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email