(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

জুনে চিলমারী-রৌমারী ফেরি সার্ভিস চালু

ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা অবশেষে দ্রুততম যোগাযোগের আওতায় আসছে। আগামী জুন মাসে চিলমারী-রৌমারী ২১ কিলোমিটার রুটে ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হচ্ছে এই দুটি উপজেলার মানুষের।বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দিনভর ফেরি চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই ও রুট পরির্দশন করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। তারা চিলমারী ও রৌমারী উভয় প্রান্তের ঘাট, সংযোগ সড়ক ও নাব্যতা যাচাই করেন।এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিআইডবি্লউটিসির জেনারেল ম্যানেজার (মেরিন) হাসেমুর রহমান, পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেলুজ্জামান বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আরিফ প্রমুখ।সকালে রৌমারী প্রান্তে প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন এমপি। রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলীসহসহ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া কুড়িগ্রাম সফরে এসে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা পরিদর্শনে যান। সে সময় তার কাছে চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে ফেরি চালুর বিষয়ে স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়। মুখ্য সচিব বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার সফরসঙ্গী নৌ পরিবহন সচিব ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশনা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ফেরি সার্ভিস চালু হলে চিলমারী-রৌমারী-রাজীবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে। যাতায়াত খরচও কমে যাবে।

বিআই ডবি্লউটিসির জেনারেল ম্যানেজার (মেরিন) হাসেমুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নির্দেশে তারা ফেরি চলাচলের সব ধরনের কারিগরি দিক সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য এসছেন। শিগগিরই এই রুটের নাব্যতা ধরে রাখতে ডেজিংসহ অন্যান্য কাজ করা হবে। পাশাপাশি দুদিকের ঘাটের উন্নয়নও করা হবে।নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেলুজ্জামান বিদ্যুৎ জানান, বর্তমানে চিলমারী-রৌমারী নৌরটের দৈর্ঘৗ ২১ কিলোমিটার। তবে ডেজিংয়ের মাধ্যমে এই রুটের দৈর্ঘ্য ১৩-১৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের সময় ও অর্থ বাঁচবে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, মূলত মুখ্য সচিব স্যারের নির্দেশনায় ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষে ফেরি সার্ভিস চালু হবে।

সূত্র: জনকণ্ঠ

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email