(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

আমরা অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই : সিইসি

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু সকল বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, কিছু দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোরও আছে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, আমাদের নির্বাচন করতেই হবে।
আজ রোববার দুপুরে পাবনার বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদেও তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, বড় রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নিজেদের মধ্যে যদি কোনো বোঝাপড়ার ঘাটতি থেকেও থাকে, সেটি সমাধান করতে হবে আলোচনার মাধ্যেমে। আমরা চাই, সকলের সহযোগিতায় জনগণের কাছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করা।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতাটা বলতে চাই। আমরা নির্বাচন করবো সংবিধানের বিধান অনুযায়ী। যেটা বর্তমানে বহাল আছে। সেভাবে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। একইভাবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সব রাজনৈতিক দল, প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলো যেন অতি অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করে।
এর আগে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সবার সহযোগিতা ছাড়া বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং নির্বাচনী প্রশাসন ছাড়া নিবার্চন সম্ভব নয়।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘ইভিএমের ভালো দিক হলো নিরাপত্তা। ভোটের নিরাপত্তা, যেমন আমার ভোট আমি দেব অন্য কেউ যাতে কেড়ে নিয়ে সিল মেরে দিতে না পারে। কারণ ভোটাররা না গেলে ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে ডিজিটাল ব্যালট ওপেন হবে না। কিন্তু আমাদের বড় একটা অংশ দাঁড়িয়ে গেল ইভিএমের বিপক্ষে। তারা বলতে লাগলেন, এটা ভোট চুরির মেশিন। আমি নির্বাচন কমিশনে প্রথম যখন আসি তখন আমিও মনে করতাম হয়তো এই মেশিনে ভোট চুরি করা যায়। কিন্তু এরপর পরীক্ষা করতে থাকি। দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা করেছি। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসে তাদের মেশিন দিয়ে বললাম আমাদের দেখিয়ে দেন কারচুপি কীভাবে করা সম্ভব। কিন্তু তারা দেখাতে পারেননি। গত ৯-১০ মাসে নির্বাচনেগুলাতে কােনো বস্তুনিষ্ঠ অভিযোগ পাইনি। আবার বলা হলো- শেষের ১০ মিনিটে ফলাফল পাল্টিয়ে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এই ১০ মিনিটে যদি একজন আইনস্টাইনকেও বসিয়ে দেওয়া হয় তারাও ফলাফল পাল্টাতে পারবে না। এটা সম্ভব না।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগ ও প্রশাসনের আন্তরিকতা দরকার। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারছেন সেটার পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের। আমাদেরও প্রচেষ্টা আছে যে নির্বাচন কমিশনকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি ইভিএমে এখন অনেকের আস্থা এসে গেছে। আগে যে অনাস্থা ছিল গালমন্দ করা হতো এখন অতটা গালমন্দ করা হয় না। কারণ এখন পর্যন্ত কেউ নির্বাচন কমিশনে অথবা আদালতে প্রমাণ দেখাতে পারেননি যে এটাতে কারচুপি হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিলাশীকরণ (এসসিডিইসিএস) প্রকল্পের অধীনে রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার কর্মকর্তাদের নিয়ে আঞ্চলিক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এর উদ্বোধন করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email