(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ভূমিকম্পের ১২ দিন পর জীবিত উদ্ধার ১ যুবক

ডেস্ক রিপোর্ট:তুরস্ক ও সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে প্রায় ১২ দিন। এখনো ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আটকে পড়া মানুষদের জীবিত উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। ভূমিকম্পের ২৭৮ ঘণ্টা পর শুক্রবার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৫ বছর বয়সী যুবক হাকান ইয়াসিনোগ্লুকে। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী হাতায়ে প্রদেশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা তাকে একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারের পর স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছেন। ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে একটি মোটা জ্যাকেট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে তার শরীর। এরপর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যান উদ্ধারকারীরা।
তুরস্কে এখন তীব্র ঠান্ডা, চলছে শৈতপ্রবাহও। তার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ। গত কয়েক দিনে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মানুষদের সংখ্যা হাতেগোনা। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার মিলিয়ে মোট তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে এক ১৪ বছর বয়সী কিশোরও রয়েছে। তবে এখনও হাল ছাড়তে রাজি নন উদ্ধারকাজে থাকা উদ্ধারকারীরা।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় হারিয়ে রাত কাটাচ্ছেন শীতের মধ্যে। পর্যাপ্ত খাবার না মেলায় সরকারের প্রতিও ক্ষোভে ফুঁসছেন দু’দেশের সাধারণ মানুষ। বিপদের মুখে পড়া দুই দেশে বাইরের অনেক দেশ থেকে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪.১ কিলোমিটার গভীরে। তারপর থেকে গত ১২ দিনে বহুবার কেঁপে ওঠেছে দুই দেশের বিভিন্ন এলাকা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email