নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সদিচ্ছা থাকলেই যে, সবকিছু করা যায় তার চমৎকার উদাহারন হচ্ছে রাউজান পৌরসভা। রাউজানের মাটি মানুষের নেতা ও উন্নয়নের রূপকার জনাব ফজলে করিম চৌধুরী এমপির নির্দেশনায় দক্ষ পৌর মেয়র মোহাম্মদ জমিরউদ্দিন পারভেজের আন্তরিক প্রচেষ্টায় হয়েছে এই অসাধারণ উন্নয়ন কাজ। পৌর এলাকা বর্জ্যমুক্ত রাখার লক্ষ্যে পৌরবাসী হতে অজৈব/অপচনশীল বর্জ্য যেমন, প্লাস্টিক, পলিথিন ইত্যাদি ক্রয় করে প্রক্রিয়াজাত করে দানায় পরিণত করে পরিবেশ দূষন থেকে প্রকৃতিকে রক্ষা করছেন। আর জৈববর্জ্য যথা, তরি তরকারীর উচ্ছিষ্ট, পচা ফল-মূল, পশু-পাখির নাড়িভুড়ি, হোটেলের উচ্ছিষ্ট খাদ্যদ্রব্যাদি ইত্যাদি মেশিনের মাধ্যমে পেষ্ট তৈরী করে তাতে পরিবেশ বান্ধব ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই/কালো মৌমাছি/বন্ধু মৌমাছি’র চাষ করে জৈব সার ও হাঁস-মুরগীর প্রিয় খাদ্য ব্ল্যাক সোলজার মথ তৈরীর মাধ্যমে সেই আবজর্নাকে সম্পদে পরিনত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যান্য পৌরসভার বর্জ্য যখন রাস্তার পাশে বা খালের মধ্যে ফেলে পরিবেশ দুষন করা হচ্ছে, ঠিক এই সময় রাউজান পৌর মেয়রের এই সৃষ্টিশীল পরিবেশ বান্ধব কার্যক্রমে সবাই মুগ্ধ। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, জংগল রাউজান এলাকায় নিরিবিলি পরিবেশে এই বর্জ্য পরিশোধন প্রকল্পের কাজ চলছে। রাউজান পৌর মেয়রের এই ‘পরিবেশবান্ধব বর্জ্য শোধননীতি’ বাংলাদেশের সবগুলো পৌরসভায় চালু করতে পারলে দেশের পরিবেশ রক্ষায় তা বিশাল অবদান রাখবে। শুধু বর্জ্যকে সার হিসাবেই নয় সেই মৌমাছির লার্ভাকে হাঁস-মুরগির খাবার হিসাবে ব্যবহার করলে তা অর্গানিক পোল্ট্রি ফিড এ রূপান্তরিত হবে।
সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন রাউজান পৌরমেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ
রাউজানের সুযোগ্য এম.পি. ও পৌর মেয়র নগদ টাকার বিনিময়ে জৈব ও অজৈব বর্জ্য ক্রয়ের যে প্রক্রিয়া চালু করেছেন তা দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।
সরেজমিনে আরও দেখা যায় যে, পৌরসভার কর্মরত পরিছন্নতা কর্মীগন জৈব বর্জ্য এনে রোলার মেশিনে পেষ্ট বানিয়ে তাতে ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই এর লার্ভা সামান্য পরিমানে মিশিয়ে দেয়। এই লার্ভাগুলি ২১ দিনের মধ্যে বর্জ্য থেকে খাবার গ্রহন করে পরিনত লার্ভায় রূপান্তরিত হয়। অতঃপর কিছু লার্ভাকে বড় করে ডিম ফুটানোর জন্য ব্র্রিডিং প্লান্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাছিগুলো জন্মের ৪০ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যে ডিম পাড়ে ও তা সংগ্রহ করা হয়। পোল্ট্রি খামারিদের কাছে ব্লাক সোলজার ফ্লাই এর পরিনত লার্ভাকে প্রচলিত পোল্ট্রি ফিডের বিকল্প হিসাবে সরবরাহ করা হলে তা পরিবেশের সুরক্ষা ছাড়াও আর্থিকভাবে লাভজনক হবে।
রাউজানের পৌর মেয়র জসিমউদ্দিন পারভেজ এর এই উদ্যেগ ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে। দেশের সব পৌরসভাতে এটি চালু করার জন্যও সরকারীভাবে পত্র দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য শোধনের ইতিহাসে ফজলে করিম চৌধুরী এম.পি ও মেয়র জমিরউদ্দিন পারভেজের নাম স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে।ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই বন্ধু মৌমাছির মাধ্যমে জৈব বর্জ্য পরিশোধনের এই প্রকল্পটি একসাথে পরিবেশ বান্ধব ও আর্থিকভাবেও লাভজনক।