
সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন বা ন্যাটোর সদস্য হিসেবে ফিনল্যান্ডকে মেনে নিলেও সুইডেনকে জোটের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করতে মত দেবে না আঙ্কারা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান প্রথম এ দেশ দুটির ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবর, রোববার (২৯ জানুয়ারি) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এরদোয়ান এ বিষয়ে কথা বলেন। ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা স্থগিত করার মাত্র একদিন পর এ অবস্থান জানালেন এরদোয়ান।
এরদোয়ান বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের বিষয়ে আলাদা আলাদা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তবে আমাদের আলাদা পদক্ষেপে সুইডেন আহত বোধ করতে পারে।’ এ সময় তিনি সুইডেনের কাছে আঙ্কারার দাবি করা সন্দেহভাজন আসামিদের হস্তান্তরের দাবি জানান আবারও।
তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা আসলেই ন্যাটোতে যোগ দিতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের কাছে ওই সব সন্ত্রাসবাদীকে ফেরত দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, সুইডেনে বিপুল পরিমাণ কুর্দি অভিবাসী রয়েছে। আলোচনার টেবিলে এরদোয়ানের বেশকিছু দাবিদাওয়া থাকলেও সুইডেন তুরস্ককে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এরদোয়ানের এ অবস্থান ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা ৩২-এ উন্নীত করার পরিকল্পনার বিরোধী। ফলে আগামী জুলাইয়ে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে হতে যাওয়া ন্যাটোর সম্মেলনও এর গুরুত্ব হারাতে পারে।
সম্প্রতি ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন তাদের কয়েক দশকের পুরনো সামরিক পক্ষপাতহীনতার অবস্থান পরিত্যাগ করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের মুখে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সক্রিয় সামরিক জোটে যোগ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ এবং আবেদন করেছে দেশ দুটি।
ন্যাটোর অন্য সদস্য দেশগুলো ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে জোটের সদস্য হিসেবে মানতে রাজি হলেও তুরস্ক এবং হাঙ্গেরি এখনো দেশ দুটোকে মেনে নেয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হতে যাওয়া হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট অধিবেশনে দেশটি ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের সদস্যপদ অনুমোদন করতে পারে।