রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই আরেকটি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রোববার (২২ জানুয়ারি) রাতে তিনি বলেছেন, যুদ্ধের আড়ালে দেশটিতে ব্যাপকহারে দুর্নীতি চলছে, যা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। শিগগিরই দুর্নীতিকে সমূলে বিনাশ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধাবস্থার মধ্যেও দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ে বিপুল পরিমাণে দুর্নীতি হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন জেলেনস্কি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি এ মন্তব্য করেন।
রোববার রাতে প্রকাশিত এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, অতীতে আমরা কীভাবে কাজ করেছি সেই ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। বিশেষকরে কিছু মানুষ যেভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করেছে এবং ক্ষমতার পেছনে ছুটেছে সেখানে ফিরে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।’
দুর্নীতির সঙ্গে ইউক্রেনীয়দের পরিচয় নতুন নয়। দেশটির ইতিহাসে দুর্বল শাসনব্যবস্থা বরাবরই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২১ সালে ইউক্রেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির তালিকায় বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ১২২ তম স্থান দখল করে যা, রাশিয়ার চেয়ে খুব একটা ভালো নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদের সদস্যপদের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে দুর্নীতি নির্মূল করাকে অন্যতম শর্ত হিসেবে দিয়েছিল।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘এ সপ্তাহেই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপযুক্ত সময়। কী সিদ্ধান্ত গৃহীত, তা এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়ে গেছে। তবে আমি এখনই সেটা সামনে আনতে চাচ্ছি না। তবে যথাসময়ে তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর জেলেনস্কি ইউক্রেনের শাসনব্যবস্থার খোলনলচে বদলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জেলেনস্কি আরও বলেছেন, তিনি সরকার গঠনের পরপরই তার মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের তদন্ত চলায় সেই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন।