(পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

আজ: রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

‘এফ-১৬ যুদ্ধবিমান’ চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ তুরস্কের

যুদ্ধবিমান না দিলে তার প্রভাব ন্যাটোতেও পড়বে বলে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের মন্ত্রী। ওয়াশিংটনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন আমেরিকা ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি উঠে এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক ও ন্যাটোর প্রসঙ্গ।

 

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকার কাছে দ্রুত ‘এফ-১৬ যুদ্ধবিমান’ দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রচ্ছন্নে তার হুমকি, যুদ্ধবিমান না দিলে তার প্রভাব ন্যাটোর উপরেও পড়তে পারে বলে জানান তিনি।

বস্তুত, বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল, তুরস্ককে ৪০টি ‘এফ-১৬ যুদ্ধবিমান’ বিক্রি করা হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একাধিক বিতর্ক হয়েছে ও হচ্ছে। একাধিক ডেমোক্র্যাট সদস্যের বক্তব্য, ন্যাটোয় তুরস্কের ভূমিকা ও রাশিয়া প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান সঠিক নয়।

ফলে তাদের ওই বিমান বিক্রি করা উচিত নয়। বৈঠক চলাকালীনও কংগ্রেসে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তুরস্ক ন্যাটোর একমাত্র দেশ যারা সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভেটো দিয়েছে। কুর্দ আন্দোলনকারীদের তারা সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করেছে।

বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল, তুরস্ককে ৪০টি ‘এফ-১৬ যুদ্ধবিমান’ বিক্রি করা হবে।

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডও তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত না করলে তুরস্ক এই দুই দেশকে ন্যাটোয় ঢুকতে দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। কুর্দদের একটি গোষ্ঠী আবার সিরিয়ায় আইএস বিরোধী লড়াইয়ে আমেরিকার সঙ্গী। ফলে আমেরিকা তুরস্কের এই অবস্থান ভালো চোখে দেখছে না।

অন্যদিকে, রাশিয়া প্রসঙ্গেও তুরস্ক মধ্যপন্থি অবস্থান নিয়েছে। তারা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চায়। মধ্যস্থতা করতে চায়। আমেরিকা এই বিষয়টিও ভালো চোখে দেখছে না।

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডও তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত না করলে তুরস্ক এই দুই দেশকে ন্যাটোয় ঢুকতে দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।
সুইডেন ও ফিনল্যান্ডও তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত না করলে তুরস্ক এই দুই দেশকে ন্যাটোয় ঢুকতে দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু ওয়াশিংটনের বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভাশোগলু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকা যুদ্ধবিমান বিক্রি না করলে তার প্রভাব কেবল দুই দেশের সম্পর্কের উপরেই পড়বে না, ন্যাটোতেও পড়বে। কার্যত হুমকির সুরেই এ কথা তিনি জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে।

বস্তুত, তুরস্কের চাপের মুখে আমেরিকা ২০ বিলিয়ন ডলারের ফাইটার জেট বিক্রিতে কার্যত সম্মতি প্রকাশ করেছে। কিন্তু আমেরিকা পাল্টা চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে।

তুরস্কের চাপের মুখে আমেরিকা ২০ বিলিয়ন ডলারের ফাইটার জেট বিক্রিতে কার্যত সম্মতি প্রকাশ করেছে।
তুরস্কের চাপের মুখে আমেরিকা ২০ বিলিয়ন ডলারের ফাইটার জেট বিক্রিতে কার্যত সম্মতি প্রকাশ করেছে।
তারা জানিয়েছে, ন্যাটোর নতুন দুই সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তুরস্ক যে অবস্থান নিয়েছে, তা বদলাতে হবে। সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের যোগদান তুরস্ককে মেনে নিতে হবে। তাহলেই তারা এই চুক্তিতে অগ্রসর হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email